সৌভিক মজুমদার, কলকাতা:প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই-ইডির (CBI) পেশ করা সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিচারপতির (Justice Amrita Sinha)। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps And Bounds) সিইও ও ডিরেক্টরের সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসেব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। সিবিআই ও ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের এজলাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল সওয়া চারটেয় মামলার শুনানি।


কী বললেন বিচারপতি সিনহা?
তাঁর বক্তব্য 'শেষ দিন শুনানির সময় যে সম্পত্তির হিসেব পেশ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই আধিকারিকদের তলব করেছি। সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভি থাকলে ভাল হয়। না হলে অন্য কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিককে থাকতে হবে।' প্রসঙ্গত, নিয়োগ-মামলায় এক অভিনেতারও সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করেছে সিবিআই ও ইডি। দিনচারেক আগে, ২১ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্টের নির্দেশে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও এবং ডিরেক্টরের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়। মামলায় জড়িত চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিদেরও সম্পত্তি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত এক অভিনেতার সন্ধানও দেয় ইডি। ৪৪ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল, আদালতে জানায় তারা। যদিও ওই অভিনেতা টাকা ফেরত দিয়েছেন, আদালতে জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।


নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস্ সংস্থাটির CEO যে এখনও তিনি, সে কথা ইডি-আধিকারিকদের জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্তত তেমনই দাবি সূত্রের। সেই প্রেক্ষাপটে লিপস এন্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির বিষয়ে হাইকোর্টের বিশদে জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত  কলকাতা হাইকোর্টর। সংস্থার ডিরেক্টর ও CEO-র সম্পত্তির খতিয়ান তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, সংস্থার আয় ব্য়য়ের হিসেব পেশেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ED-র কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, লিপস এন্ড বাউন্ডস সংস্থাটি চালু হল কবে? যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন, তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান আপনাদের কাছে আছে? এদিকে ED সূত্রে দাবি, অভিষেক ও তাঁর পরিবারের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, তা জানতে সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও, চাওয়া হয়েছে শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্য। সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য় জানাবেন বলে ED-কে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর বয়ান ও ED-র কাছে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখেন দুই অফিসার। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। এর পরেই ইডির আতসকাচে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থা।  সেই সংস্থার সিইও এবং ডিরেক্টরের সম্পত্তির হিসেব নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে বিচারপতি সিনহার।


 


আরও পড়ুন:হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার, আজই নবান্নে জরুরি বৈঠক