সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আবার পোস্টিং নিয়ে বিতর্ক। আবারও আদালতে কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ( Rajasekhar Mantha ) । মামলাটি পূর্ব মেদিনীপুরের ( Purba Midnapur ) । তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সার্কেলের সাতজন শিক্ষক। তাঁদের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি হলেও, কোনও কাউন্সেলিং হয়নি। এই অবস্থায় মামলাকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সার্কেলের সাতজন শিক্ষক। সেই মামলারই এদিন শুনানি ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতির প্রশ্ন, 'যাঁরা আপনাদের হাতে তৈলমর্দন করবে তাদের পছন্দমত স্কুলে পোস্টিং দেবেন ?'। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে একের পর এক প্রশ্নে বিদ্ধ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি জানতে চান, 'মামলাকারী অনেক কিছুই চাইতে পারেন, বলতে পারেন যে তাঁকে বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হোক। কিন্তু পোস্টিংয়ের নির্দিষ্ট বিধি কোথায়?'
সেই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে আদালতের প্রশ্ন, হাওড়ায়, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয় ? ' । বিচারপতি বলেন, বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা রাজ্য সরকার, কেউই নির্দিষ্ট বিধি দেখাতে পারেনি। ২০১৬ সালের যে বিধি রয়েছে তার মধ্যে কোথাও কাউন্সেলিং বা পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট করে বলা নেই। আদালত মনে করছে, সেই কারণেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা পেয়ে যাচ্ছে।
বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা রাজ্য কেউই নির্দিষ্ট বিধি দেখাতে পারেনি, মন্তব্য করেন বিচারপতি। এরপর আদালতের নির্দেশ, যদি এখনও কোন শূন্যপদ থাকে তাহলে সেখানে নিয়োগ করা যাবে না। সেই সঙ্গে রাজ্য এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলফনামা তলব করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন :