সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এসএসসির চেয়ারম্যানকে (chairman of SSC) সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। সঙ্গে জানালেন, আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। 'আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন,' মন্তব্য বিচারপতির। আরও বললেন, 'কমিশনের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। এই আচরণের জন্য জনমানসে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। সব নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আমি সন্দেহ করছি।' ২০১১-য় প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে যে মামলা হয়েছিল, তাতে মামলাকারী ৮৩ জনকে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ , এই ৮৩ ছাড়াও আরও অনেককে নম্বর দিয়েছে কমিশন। কমিশনের রিপোর্টে অখুশি কোর্ট।



আর কী?
আগামী শুক্রবার নতুন রিপোর্ট নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ইতিমধ্যে এসএসসি-র তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। তাই চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ নিয়ে ছেলেখেলা করছে কমিশন। তিনি মনে করিয়েছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দুর্নীতি হয়েছে সে কথা আগেও মনে করিয়েছিলেন। তবে এখনও যে সেই দুর্নীতি প্রক্রিয়া জারি রয়েছে সেটিও মনে করেন বিচারপতি মান্থা।  


কী মামলা?
২০১১ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল, তাতে প্রশ্নে ভুল রয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৮৩ জন পরীক্ষার্থী। আদালত নির্দেশ দেয়, প্রশ্নে ভুলের জন্য ওই ৮৩ জনকেই অতিরিক্ত নম্বর দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই ৮৩ জন ছাড়াও আরও অনেককে বাড়তি নম্বর দিয়েছে। আদালতের নির্দেশের বাইরে কেন বাকিদের ওই বাড়তি নম্বর দেওয়া হল, সেই নিয়ে মামলাতেই এই ধরনের পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। আগামী শুক্রবার কমিশনের চেয়ারম্যানকে হাজির থাকার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত বেশ কিছুটা সময় ধরে তোলপাড় রাজ্য। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর হালের কিছু মন্তব্য নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়। সেই নিয়ে সওয়াল করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'দণ্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার'। রাজ্য রাজনীতির যাবতীয় চর্চার অভিমুখ  এখন 'দুর্নীতি'-র দিকেই। এ নিয়ে যখন সপ্তমে সুর, ঠিক তখনই এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 


আরও পড়ুন:পারব না আমি ছাড়তে তোকে... এক স্বামীকে নিয়ে ঘর করতে চান দুই সতীন, আবদারে আইনি সিলমোহর