ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালতের নির্দেশ মতো আজ ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। তখন তিনি দাবি করেন, তিনি একেবারে 'ক্লিয়ার'। আর তা পরে যেদিন তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হবে, সেদিনই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। 


এদিন জ্যোতিপ্রিয়কে সাংবাদিকরা যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের ইডি-র তলবের কথা জানান, তখন তিনি প্রথমটা সম্ভবত বুঝেই উঠতে পারেননি। প্রশ্ন করেন - 'কোন বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি জানি না।' তারপর তাঁকে আবার স্পষ্ট করে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের লিডার? '। এরপর তাই নিয়ে একটিও কথা খরচ না করে, নিজেকে নির্দোষ বলে ফের একবার দাবি করেন। বলেন, ' আপনাকে একটা কথা বলি শুনুন। আমি সমস্ত ব্যাপারে নির্দোষ, আপনি জেনে নিন, এটা জেনে নিন। ১৩ তারিখে প্রোডিউস হবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বুঝতে পারবেন। আমি অলরেডি অত্যন্ত ক্লিয়ার, অত্যন্ত ক্লিয়ার এখান থেকে। অন্যায় কিচ্ছু নেই আমার। আমার কোনও অন্যায় নেই। আমি খুব ক্লিয়ার। আমি খুব পরিষ্কার, ক্লিয়ার। '              


এর আগেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছেন জ্যোতিপ্রিয়। গত ৬ তারিখ, আদালতে ঢোকার সময় দু'হাত তুলে বলেছিলেন, তিনি মুক্ত। কিন্তু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের আবেদনই করেননি তাঁর আইনজীবীরা!  সেদিন, আদালতে ঢোকার মুখেও ফের নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন 'বালু'। 'আমি মুক্ত। ১১ দিনে ED বুঝতে পেরেছে, ১১ দিনে ED বুঝতে পেরেছে আমি মুক্ত। ১১ দিনে ওরা বুঝতে পেরে গিয়েছে আমি মুক্ত।' 


না, মুক্তি তো মেলেইনি । বরং তাঁর বিরুদ্ধে হালফিলে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক।  প্রাক্তন PA অভিজিৎ দাসের দাবি, মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী ও মাকে তিন-তিনটে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। অভিজিতের আরও দাবি, মন্ত্রীর নির্দেশে ডিরেক্টর হলেও, সংস্থার কাজ সম্পর্কে কিছু জানা ছিল না। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর দাবি, চাপে পড়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসছিল। প্রথমে বুঝতে পারেননি, জায়গাটা ওরকম গন্ডগোলের। 


এখন ১৩ নভেম্বর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কী ঘটে, সেই দিকেই চোখ থাকবে সারা বাংলার।