বীরভূম: 'সংগঠনের কোনও পরিবর্তন হবে না। বীরভূম জেলায় যে কোর কমিটি আছে, সেই কোর কমিটিই থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, তিনিই বীরভূম জেলার অবজার্ভার। অনুব্রতর চলে যাওয়া এক বিন্দুও প্রভাব পড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চলে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দল থাকবে না।' দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কাজল শেখের।
বিস্ফোরক মন্তব্য কাজল শেখের: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মঙ্গলবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। বর্তমানে দেশের রাজধানীতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। আর বীরভূমে দলের একসময়ের হত্তা-কর্তা-বিধাতা দিল্লি পাড়ি দেওয়ার পরদিনই ফের বিস্ফোরক তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির সদস্য ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখ।তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র প্রভাবও পড়বে না দলে।
কাজল শেখের এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "দলটা তৈরি করেছেন মমতা। বীরভূম জেলায় আমরা দেখেছি, অনুব্রত মণ্ডল প্রচণ্ড পরিশ্রম করে বীরভূমে দলটাকে দাঁড় করিয়েছে। তাই বীরভূম জেলায় তাঁর একটা ভূমিকা ছিল, আছে থাকবে।'' এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "কাজল শেখ কাজল শেখের কথা বলছে। আমরাও মনে করি, কোনও প্রভাব হবে না।কেষ্ট মণ্ডল কাজল বাবুর ওপরই প্রভাব রেখেছিলেন। উনি এখন কেষ্টবাবুর জায়গাটা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কাজল ভাবছে, কেষ্টর জায়গাটা যদি নিতে পারি, তাই গরম গরম কথা বলছে।''
গরুপাচার মামলায় দিল্লি এবং কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি চলে যায় ইডি। তার আগে আসানসোল জেলে রাখা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেইসময়ও বীরভূমের জেলা সভাপতি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কাজল শেখ। কাজল শেখ বলেন, “জেলে আছেন। কিন্তু বিকাশদার সঙ্গে নিশ্চই কথা হচ্ছে। যার জন্য বিকাশদা বলছে, তিনি কেষ্টদার কথামতো চলছেন। বিকাশদার কথা। স্বভাবতই তাঁর ফোন চেক করলে বুঝতে হবে।’’
আরও পড়ুন: East Midnapore: কোলাঘাটে পেট্রোল-ডিজেলের গোডাউনে আগুন, বেপাত্তা বাড়ির মালিক, অসুস্থ এক