কলকাতা: অযোধ্যায় রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে রামপুজোর আয়োজনে 'না' পুলিশের। সেই নিয়ে এবার হাইকোর্টে মামলা করল কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতি।  একমাস আগে আবেদন সত্ত্বেও পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগে মামলা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সোমবার মামলার শুনানি হবে। বিষয়টি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। (Kolkata News)


আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে। 'রামলালা' অর্থাৎ ভগবান রামের শিশুকালের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা ঘিরে সাজ সাজ রব সেখানে। বাংলা থেকেও বহু মানুষ ওই দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকতে রওনা দিয়েছেন। সেই আবহেই কালীঘাটে রামপুজো করা নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করল কালীঘাট বহু মুখী সেবা সমিতি নামের একটি ক্লাব। (Kalighat News)


কালীঘাট বহু মুখী সেবা সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যা রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে ৬৬ পল্লির কাছে রামপুজোর আয়োজন করেছে তারা। সেখানে প্রসাদ বিতরণ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।  অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটিও এলইডি স্ক্রিনে সকাল থেকে দেখানোর ব্যবস্থা করছে তরা। সেই নিয়ে সব আয়োজন প্রায় সারা হয়ে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Shankar Adhya: 'শঙ্কর আঢ্যর পরিবারের নামে ৬টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা'! দাবি ED-র


ওই বহু মুখী সেবা সমিতির দাবি, অনুষ্ঠানটির জন্য এক মাস আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরও পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। ওই সংগঠনকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী সোমবার মামলাটি নিয়ে শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।


অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চলছে এমনিতেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি আসলে রামমন্দিরকে সামনে রেখে ভোটবাক্স পুরতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই নিয়ে মুখ খোলেন। মঙ্গলবার জয়নগরের সভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "রামমন্দির নিয়ে আমার বক্তব্য জানতে চাইছিল গতকাল। আর কোনও কাজ নেই যেন! ধর্ম যার যার নিজের। উৎসব সবার। আমি সেই উৎসবে বিশ্বাস করি, যে উৎসব সবাইকে নিয়ে চলে, সকলের কথা বলে, একর কথা বলে। আপনারা করছেন করুন না! কে আপত্তি করছে? কোর্টের আওতায় করছেন, নির্বাচনের আগে গিমিক শো করবেন  বলে।"


রামমন্দির নিয়ে মমতা আরও বলেন, "আমার কোনও আপত্তি নেই তো! তাই বলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে অবহেলা করা কাজ নয়। তৃণমূলের সরকার যত দিন থাকবে, আমি শপথ করে যাচ্ছি, আমি কোনও দিন হিন্দু-মুসলমান, শিখ-খ্রিস্টান, তফসিলি-আদিবাসীদের মধ্যে ভাগ করতে দেব না। NRC-র সময় আন্দোলন করেছিলাম। আন্দোলন করেছিলাম CAA নিয়েও।"  মমতার এই বক্তব্য নিয়ে আবার মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসুপ্রিম কোর্টই অযোধ্যার জমিতে রামমন্দিরের নির্দেশ দেয়। তাই এমন মন্তব্য করে মমতা শীর্ষ আদালতের অবমাননা করেছেন বলে দাবি তাঁর।