কলকাতা: কালীপুজোয় (Kalipujo) আতসবাজি (Firecrackers) এবং শব্দবাজির দৌরাত্ম্য থাকবেই। সেই মোতাবেক দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজবাজি বিক্রি (Green Crackers) ও ফাটানো যাবে। কিন্তু রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞাকে আমল না দিয়ে কালীপুজোর রাতে নির্ধারিত সময়ের পরেও দাপিয়ে বেড়াল শব্দ দানব।
রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে দেদার পুড়ল বাজি। কলকাতাজুড়ে শব্দদানবের দাপাদাপি। রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেদার পুড়ল বাজি। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ৪১৪ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৪৪ জনকে। এর মধ্যে উশৃঙ্খল আচরণের জন্য ১৭১ জনকে পাকড়াও করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সাড়ে ৯ কেজি শব্দবাজি। এছাড়াও রাতে দমদমের মতিঝিলে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। শিলিগুড়ির একটি বাজার এলাকায় আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় বেশ কয়েকটি দোকান।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে বলা হয়েছিল, বেরিয়াম রয়েছে এমন আতসবাজি ও শব্দবাজি বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে বাতাসে দূষণের পরিমাণ। পরিবেশ দূষণ রোধে এবার গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিল প্রশাসন। কিন্তু মার্কেটে সবুজ বাজির ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছিল। সবুজ বাজির ক্ষেত্রে বেরিয়াম নাইট্রেটের ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গেল, তাও ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, অমাবস্যার নিশীথে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বামাকালী পুজো এই পাহাড় ঘেরা গ্রামে
রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ১৭ অক্টোবর, পর্ষদের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, সবুজ শব্দবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে এবং সবুজ আতসবাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে রাখতে হবে। বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র সবুজবাজি বিক্রি ও ফাটানো যাবে।
এদিকে, কালীপুজোর পুজোর মুখে শহরে বিপুল পরিমাণ বেআইনি বাজি উদ্ধার হয়েছে। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে ৩৫০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের বম্ব স্কোয়াড। গ্রেফতার করা হয়েছে মানস কর্মকার নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে। ঘটনায় প্রগতি ময়দান থানায় রুজু হয়েছে মামলা।