কলকাতা: এবার কল্যাণী JNM হাসপাতালের ৭৭ জন চিকিৎসকের গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে মেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন চিকিৎসকেরা। কাল থেকেই কাজ বন্ধ করছেন কল্যাণী JNM হাসপাতালের ৭৭ জন চিকিৎসক। বিচারের দাবিতেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। (Kalyani JNM Hospital)
আর জি কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন কল্যাণী JNM হাসপাতাল। তাঁরা ইমেলে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। তাঁরা জানিয়েছেন, যেভাবে অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, সরকারের তকফে সমস্যা সমানের উদ্যোগ যেভাবে দেখা যাচ্ছে না, যেখানে কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না, তাঁরা অনশনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। (RG Kar Protests)
গণ ইস্তফার জন্য রাজ্য সরকারকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন কল্যাণী JNM হাসপাতালের ৭৭ জন চিকিৎসক। আগামী কাল, অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর গণ ইস্তফা দেবেন। সরকারকে একদিন সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে এর মধ্যে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় রাজ্য। অন্যথায়, আগামী কাল চিকিৎসকরা গণ ইস্তফার পথে হাঁটবেন বলে জানাননো হয়।
যদিও চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দেন, গণ ইস্তফা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তির ব্যক্তিগত পদত্যাগপত্র না জমা দিলে, সেটা পদত্যাগপত্র নয়। একটা যৌথ চিঠি, অনেকের সংগ্রহ সম্বলিত, যাতে বিষয়ের উল্লেখ নেই। বিভ্রান্তি দূর করতেই সরকার এই অবস্থা জানায়।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসে অনিকেত মাহাত, আলোক বর্মা পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। আপাতত স্থিতিশীল অনুষ্টুপ, রক্তচাপ স্বাভাবিক, কমেছে পেট ব্যথা। রক্তক্ষরণের কারণ সন্ধানে এন্ডোস্কপি হবে তাঁর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আট সদস্যের একটি বোর্ডও গঠন করেছে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বহরমপুরের নাগরিকরা। আজ সকাল ৭টা থেকে বহরমপুর রবীন্দ্র ভবনের সামনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আর জি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতেই এই প্রতীকী অনশন।
জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের আবাসিকরাও। আবাসনের মূল গেটের সামনে প্রতীকী অনশনে । রবিবার তাঁরা নিজেদের আবাসনের মূল গেটের সামনে বসে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। নাচ-গান, আবৃত্তির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। আবাসনের বাসিন্দা অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রও প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন।