কলকাতা: রাজ্যপালের (Governor C V Anand Bose) 'দুর্গারত্ন' পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাব। রাজ্য়পালের পুরস্কারপ্রাপ্ত আরেক পুজো কমিটি 'টালা প্রত্য়য়'ও জানিয়ে দিল তারা পুরস্কার নিচ্ছে না। পুরস্কার নিয়ে বৃহস্পতিবার অবস্থান জানাবে বরানগরের 'লোল্য়ান্ড' পুজো কমিটি। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের খবর রাজভবনকে পুজো কমিটিগুলির তরফে জানানো হয়নি।
'দুর্গারত্ন' পুরস্কার প্রত্যাখ্যান: রাজ্যপালের 'দুর্গারত্ন' পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাব। রাজ্য়পালের পুরস্কারপ্রাপ্ত আরেক পুজো কমিটি 'টালা প্রত্য়য়'ও জানিয়ে দিল তারা পুরস্কার নিচ্ছে না।রাজভবনের তরফে ঘোষিত তালিকায় রয়েছে বরানগরের 'লোল্য়ান্ডস' পুজো কমিটিও। তারা জানিয়েছে, পুরস্কার নেবে কি না, তা জানাবে বৃহস্পতিবার। শুধু পুরস্কার প্রত্যাখানই নয়, রাজ্যপালের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের মধ্যেই উঠে এল বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকার প্রসঙ্গ।
করল কল্যাণীর ক্লাব: দুর্গারত্ন পুরস্কার ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে মানুষের বিচারে সেরা ৪ পুজো কমিটিকে পুরস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজভবন। যে তালিকায় রয়েছে টালা প্রত্যয়, নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিং ও কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব। অভিনবত্বে কলকাতার বড় বড় পুজোকে টেক্কা দিয়েছে কল্য়াণীর লুমিনাস ক্লাবের দুর্গা পুজো। কল্য়াণীর এই পুজো দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্য়পাল। সেই সময় পুজো কমিটির কাউকেই সেখানে দেখা যায়নি। ছিলেন না জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপারও। প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্য়পালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের জেরেই কি রাজ্য়পালের ছোঁয়া এড়ালেন লুমিনাস পুজো কমিটির উদ্য়োক্তারা? এবার সেই পুজো কমিটিই রাজ্য়পালের পুরস্কার ফেরাল। ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য়, বাংলার ১০০ দিনের বকেয়া প্রকল্পের টাকা মেটানোর জন্য় আগে কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন জানান রাজ্য়পাল। তাই এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পুরষ্কার মূল্য় তারা নিচ্ছে না। এই পুজোর উদ্যোক্তা অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ১০০ দিনের কাজের টাকা পেতে দিল্লিকে জানাক। গরিব মানুষ টাকা পেলেই আমরা ভেবে নেব পুরস্কার পেয়ে গেছি।’’
এদিকে, রাজ্যপালের দুর্গারত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে টালা প্রত্যয়ও। পুজো কমিটির দাবি, রাজভবনের তরফে এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। এই ধরনের কোনও প্রতিযোগিতায় তারা অংশ নেয়নি। তাই এই পুরস্কার তাদের দেওয়া হলে, তারা তা নিচ্ছেন না। একাধিক পুজো কমিটির পুরস্কার প্রত্য়াখান প্রসঙ্গে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের বিচারের এই চারটি পুজোকে নির্বাচিত করা হয়। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের খবর রাজভবনকে পুজো কমিটিগুলির তরফে জানানো হয়নি। তাই রাজভবন এই মুহুর্তে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছে না।
আরও পড়ুন: Road Accident: দুর্ঘটনায় মৃত্যু কিশোরের, মহেশতলায় পথ অবরোধ