রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : হিমালয়, যেন মৌন ঋষির মতো মগ্ন ধ্যানে। মেঘমুক্ত আকাশের ক্যানভাসে ধরা দিল সেই ধ্যানমগ্ন হিমালয়েরই ঝকঝকে শৃঙ্গ।  কাঞ্চনজঙ্ঘা ( Kanchenjunga ) । রৌদ্রজ্জল আবহাওয়া থাকলে দার্জিলিং ( Darjeeling )  বা সিকিম থেকে এই দৃশ্য প্রায় রোজই দেখা যায়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার এই নৈস্বর্গিক দৃশ্যের সাক্ষী রইল রাজগঞ্জ ( Rajgunj ) । আকাশের দিকে চোখ যেতেই অবাক এলাকার বাসিন্দারা। মেঘমুক্ত আকাশের ক্যানভাসে কেউ যেন পাহাড় এঁকে দিয়ে গিয়েছে!  


 উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চন দর্শন
বর্ষা বিদায়ের পর থেকেই বেশ কয়েকদিন হল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে তো বটেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকেই দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম রূপের। পর্যটকরা গাড়ি থেকে থেকে নেমে কাঞ্চনজঙ্গা দেখছেন। ক্যামেরা বন্দি করছেন দুর্লভ মুহূর্ত।


 আমবাড়ি থেকে সোনার-শৃঙ্গ
সেরকমই বৃহস্পতিবার সোনার-শৃঙ্গ দেখা গেল রাজগঞ্জের আমবাড়ি থেকে। আমবাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখতে পেয়ে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা।   সকলেই মোবাইল বন্দি করলেন সেই দৃশ্য। বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা চোখের সামনে দেখতে পেয়ে খুশি সকলেই।


কাঞ্চনজঙ্ঘা? নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না রাজগঞ্জের মানুষের। দৃশ্য দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন রাস্তায়।  বর্ষা কেটেছে, সেই সঙ্গে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ সম্ভবত কমেছে কিছুটা, তাই দৃশ্যমানতা বেড়েছে। তার জেরেই রাজগঞ্জের কাছে ধরা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।

তরাই - ডুয়ার্স অঞ্চলেও আকাশ পরিষ্কার থাকায়  উত্তরের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকেই দেখা মিলছে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘার। সম্প্রতি ধূপগুড়ি শহর থেকেও দেখা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই মনোহর দৃশ্য উপভোগ করতে ধূপগুড়িতেও  চলে আসেন পর্যটকরা। ইদানীং শিলিগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকেও হয়েছিল কা়ঞ্চনদর্শন। নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে মাঝে মধ্যেই এমন অভিজ্ঞতা হয় শিলিগুড়িবাসীর । 

নভেম্বর - ডিসেম্বর হল উত্তরবঙ্গে পর্যটনের ভরা মরসুম। মাসের শুরুতেই পর্যটকদের জন্য চমক । মেঘ কাটিয়ে হাসছে পাহাড়, এ দৃশ্য দার্জিলিং-এরও। সকাল সকাল কাঞ্চন দর্শন হল পর্যটকদের। দার্জিলিং পাহাড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম রূপ দেখে মুগ্ধ সকলে। আকাশজুড়ে  হাসছে  কাঞ্চনবর্ণ চূড়া। বেলা বাড়লেও মিলছে দর্শন। শীতের শুরুতেই পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নেমেছে । প্রকৃতির এমন রূপ পর্যটকদের কাছে নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি।