কলকাতা: দিনভর কাজ, ব্যস্ততার মাঝে শরীরের দিকে খেয়াল রাখাও হয়ে ওঠে না। যাঁরা কাজের সূত্রের সারাদিন বাইরে ঘোরেন, তাঁদের একরকম সমস্যা। যাঁরা অফিসে বসে কাজ করেন, অর্থাৎ অফিসের পরিভাষায় ডেস্কজব, তাঁরাও নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল কোমর ও পিঠের ব্যথা।


শুধু ডেস্কজবই নয়, দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে হয়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়--এমন হলেও পিঠ ও কোমরের ব্যথা থাবা বসায়। 


কেন ব্যথা হয়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পিঠ ও কোমরের ব্যথার নানা কারণ থাকতে পারে। পিঠের উপর অতিরিক্ত চাপ বা ভার পড়লে। ভারী জিনিস ওঠানো-নামানোর কাজ করলে। কোনও একটি নির্দিষ্ট কাজ বারবার লাগাতার করে গেলে ব্যথা হতে পারে। আবার উল্টোদিকে কোনওরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া ডেস্কে বসে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করে গেলেও একই ব্যথা হতে পারে। চেয়ারে ভুলভাবে বসলেও ব্যথা হতে পারে।


কী কী সতর্কতা প্রয়োজন:
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। হাঁটা, সাঁতার কাটা বা স্ট্রেচিং -এর মতো শারীরিক কসরতের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত কমিয়ে ফেলতে হবে।


প্রয়োজন একাধিক পদক্ষেপ:
ব্যথা এড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।


কাজের জায়গা:
সবার আগে কাজের জায়গা ঠিকমতো সাজানো দরকার। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এমনভাবে রাখতে হবে যাতে সবই হাতের কাছে হয়। কোনও জিনিস নিতে বারবার ঝুঁকতে বা নীচু হতে না হয়। কম্পিউটারে কাজ করলে চোখের উচ্চতায় মনিটর রাখতে হবে। যাতে টানা ঘাড় নামিয়ে কাজ করতে না হয়। মনিটরের ফন্ট সাইজ এবং ব্রাইটনেস ঠিকমতো রাখতে হবে।   


নজর চেয়ারে:
চেয়ারের উচ্চতাও ঠিক করতে হবে। চেয়ারে ব্যাকরেস্ট এবং কোমরের সাপোর্ট যেন ঠিক থাকে। বসে যেন আরাম হয়। চেয়ারে বসা অবস্থায় পায়ের পাতা যেন পুরোপুরি মাটি ছুঁতে পারে। কাজের জন্য ভারী জিনিস তুলতে হলে সাবধানে তুলতে হবে। যদি কাজের প্রয়োজনে অনেকটা সময় ফোনে কথা বলতে হয়, তাহলে হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবহার করা উচিত। কাঁধের সঙ্গে ,মাথা হেলিয়ে ফোন ব্যবহার করলে ঘাড়ে ব্য়থা হতে পারে। 


মাঝে মাঝে বিরতি:
চেয়ারে বসে কাজের অভ্যাস থাকলে টানা এক জায়গায় বসে থাকা উচিত নয়। মাঝে মাঝে কিছুটা বিরতি নিয়ে কাজ করা উচিত। মাঝে উঠে হেঁটে এলেও উপকার মিলবে।
 
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: শীতের মরসুম শুরুর আগেই বন্ধ নাকের সমস্যা, আরাম পাবেন ঘরোয়া টোটকাতেই