কলকাতা: কসবাকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী লকেট-অগ্নিমিত্রা-রূপাকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের দেবাংশুর। তিনি বলেন,'চ্যালেঞ্জ করছি, যাঁরা নারী নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, উত্তরপ্রদেশে যান। নিরাপত্তা ছাড়া উত্তরপ্রদেশের কোনও গ্রামে রাত ৮টার পর যান লকেট-অগ্নিমিত্রা-রূপা। রাত ৮টার পর উত্তরপ্রদেশের কোনও গ্রামে ১ কিমি হেঁটে দেখান। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশের মহিলারা রাতে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না। বাংলার মহিলারা রাত ২টোর পরেও বাড়ি ফিরতে পারেন', মন্তব্য দেবাংশুর।
আরও পড়ুন, কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতা ও ৩ ধৃতের DNA-র নমুনা সংগ্রহ, পাঠানো হল এবার পরীক্ষার জন্য
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন নিরাপত্তারক্ষী। নির্যাতিতার অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীকে বার করে দিয়ে তাঁর ঘরেই অত্যাচার চলে।নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। প্রশ্ন উঠেছে, চোখের সামনে এত বড় ঘটনা ঘটতে দেখেও কেন বাধা দেননি নিরাপত্তারক্ষী? কলেজ কর্তৃপক্ষকেও কেন জানাননি? তাঁকেও কি হুমকি দেওয়া হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে,কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে কীভাবে 'গণধর্ষণের' ঘটনা ঘটল? ঘটনা জেনেও কেন কর্তৃপক্ষকে জানাননি নিরাপত্তারক্ষী? কেন তিনি নির্যাতিতাকে সাহায্য করেননি? মনোজিৎ মিশ্রর কলেজে দাপট রয়েছে জেনেই কি চুপ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী? নাকি নিরাপত্তারক্ষীকে হুমকি দিয়েছিলেন মনোজিৎ ও তাঁর দলবল?
খাস কলকাতার বুকে আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও তৃণমূল কর্মী এবং ওই কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র। প্রতিবাদে শনিবার উত্তাল হয় শহরের রাজপথ এরই মধ্যে, কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে, এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। আদতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার বাসিন্দা। কসবায় ভাড়া থাকতেন আইন কলেজের ওই নিরাপত্তারক্ষী।যার কথা পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রেও উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি রস্টার খতিয়ে দেখা হয়। ধৃত ৩ জনকে জেরা করে উঠে আসে নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বুধবার। অথচ কসবার ল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শুক্রবার দাবি করেন, ওই দিন সকালে পুলিশ আসার পর তিনি নাইট গার্ডের কাছ থেকে খবর পান।সাউথ ক্য়ালকাটা ল’ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের নয়না চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, আমার যে নাইট গার্ড আছে, উনি সকাল ৭টা-সাড়ে ৭টার আগে যখন আমাকে বলেন যে, এরকম পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে লোক এসেছিল ম্য়াডাম। পুলিশ বলেছে, কলেজকে জানানো হয়েছে। তা আমরা দরজাটা খোলার পর দু'টো রুম সিলড হয়েছে। এর পরে বেলার দিকে পুলিশ আমাকে ফোন করে জানায়।