কলকাতা:  ১০ মার্চ পর্যন্ত কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi) হেফাজেত চাইল পুলিশ। অধীরকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, পাল্টা মন্তব্যের পরেই গ্রেফতার কৌস্তভ। বড়তলা থানায় সাড়ে ১০টায় অভিযোগ দায়ের হয়। রাত ২.৩০টে নাগাদ কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ যায়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে সকালে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। কৌস্তভের বিরুদ্ধে হুমকি, উস্কানি, শ্লীলতাহানি-সহ জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিবৃতির জেরে হিংসা ছড়ানোর ধারায় এফআইআর। কৌস্তভের বিরুদ্ধে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করারও অভিযোগে এফআইআর দায়ের।                                                                                       


এদিন শুনানিতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, ‘মাঝরাতে আইনজীবীকে তুলে আনার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে?'কৌস্তভ কি কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত? কোর্টে প্রশ্ন বিকাশ ভট্টাচার্যের। 'কৌস্তভ বলেছেন, একটি বই বাজারে আছে। যে বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে বলা আছে। সেই বই এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সরকার তো ব্যান করেনি। কেন ৪১ ধারায় নোটিস করল না পুলিশ? কেন মাঝরাতে পুলিশ বাড়িতে ঢুকল? এরপর তো কোনও বিচারকের বাড়িতেও পুলিশ ঢুকে যাবে। কোথায় যাচ্ছে আইন ব্যবস্থা? রাত ৩টেয় বাড়িতে পুলিশ চলে এল। এত রাতে কারও বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে।'আদালতে সওয়াল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। 'পুলিশ ১০ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে চেয়েছে মোটিভ খুঁজে বের করার জন্য? ওসি, আইও-কে শোকজ করা হোক।‘ যে কোনও শর্তে কৌস্তভকে জামিনের আর্জি।                                 


কী দাবি কৌস্তভের? 


কৌস্তভের দাবি, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। কৌস্তভকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর। 


 


আরও পড়ুন: Koustav Bagchi Arrested: ‘কেউ নির্দেশ দেয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি’, কৌস্তভের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মামলাকারী