উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কংগ্রেস (Congress) ছাড়লেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi Update)। দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। কৌস্তভ ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কংগ্রেসের হাইকমান্ডের কাছে। চিঠি পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও।    


 



 


কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ: জল্পনা ছিলই, ভোটের আগে তাতেই কার্যত পড়ল সিলমোহর। এবার কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী।স্পষ্টভাবেই কৌস্তভ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মতের অমিল হচ্ছে কংগ্রেসের। তাঁর অভিযোগ, এরাজ্যে তৃণমূলের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের কোনও গুরুত্ব নেই। তাদের বক্তব্য কেউ গুরুত্ব দেয় না। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে  যেভাবে কংগ্রেস চলছে তার পক্ষে সেই দলে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন এই সিদ্ধান্ত? কৌস্তভ বাগচীর দাবি, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য তৃণমূলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্বই নেই। কংগ্রেস তার রাজনৈতিক সত্তা হারিয়েছে, সেই কারণেই পদত্যাগ বলে দাবি করেছেন কৌস্তভ বাগচী।            


 



সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, কৌস্তভের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের। আর তার পাশাপাশি দেখা গিয়েছে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। এমনকী কৌস্তভের বাড়িতেও একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার শুভেন্দুর একাধিক কর্মসূচিতেও কৌস্তভকে দেখা যায়। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেসের একটা বড় অংশেরই কৌস্তভের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না।                   


কী জানালেন কৌস্তভ? 


দলত্যাগ করে এদিন কৌস্তভ বলেন, "প্রাথমিক সদস্যপদ সহ আমি প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য ছিলাম। সেই সব থেকে ইস্তফা দিয়েছি। ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, রাজ্য সভাপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি। আমার যা যা বক্তব্য ছিল আমি লিখেছি সবই। এখানে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসকে নিজেদের দলের অংশ বলে মনে করে। এরাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের আলাদা করে কোনও গুরুত্বই নেই। কংগ্রেসে থাকে মানে আত্মসম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করা। সেটা করতে পারব না।'' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কীভাবে? আজ বৈঠকে কমিশন