কেশপুর: ‘কোন অঞ্চল সভাপতি কী করছে আমার নজরে আছে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এদিন কেশপুরের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “কয়েকজন নেতার কাজে দলের মাথা নত হলে তা সহ্য করব না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) দেবেন। মানুষ তৃণমূলকে যেভাবে দেখতে চায় সেটাই নতুন তৃণমূল। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি আছি। যাঁরা ভেবেছেন প্রার্থী হয়ে মানুষের কাজ করবেন না সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।'


পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুঁশিয়ারি অভিষেকের: এদিন অভিষেক বলেন, "নজর কিন্তু আমি রাখছি। কে কোথায় কী কাজ করছেন, কী করছেন না, কোন অঞ্চল সভাপতি কী করছেন সেই খবর আমার কাছে আছে।মাথা নত করব জনগণের কাছে। কিন্তু ৩-৪ জন নেতা নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে যদি দলের মাথা নত হয়। আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। আমি আজকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি। আমি সময় দিচ্ছি। এখনও শুধরান। নইলে যে ওষুধ প্রয়োগ করব তাতে কাজ যখন হবে তখন কিন্তু শুধরানোর সময় পাবেন না। এখন থেকে বলা শুরু হয়ে গেছে, পঞ্চায়েতে আমি প্রার্থী দেব। পঞ্চায়েতে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দেবেন। কেউ যদি ভেবে থাকে কোনও পাড়ায় খারাপ ব্যবহার করে আসবে, আর কেউ জানতে পারবে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরেকবার সচেতন করে দিয়ে যাচ্ছি।''


এদিন তিনি বলেন, 'বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হলে বাংলার মানুষের পেটে আঘাত পড়েছে। ১৭ লক্ষ পরিবারের টাকা এরা আটকে রেখে দিয়েছে। বাংলায় জিততে পারেনি বলে টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টিম কোনও ভুল ধরতে পারেনি। ১১ লক্ষ মানুষের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীদিন প্রতিটি পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দেবেন। বিরোধীরা মনোনয়ন করতে না পারলে আমি করে দেব। করে-কম্মে খাওয়ার দিন শেষ। যাঁরা নিজেদের মধ্যে রেযারেষি করছেন, এক মাস সময় দিলাম।'


কেশপুরে জনসভার আগে খড়গপুর গ্রামীণ ব্লকের মাতকাতপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন অভিষেক। শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। এখানে বহুদিন ধরে আছেন শতাধিক পরিবার। জায়গাটি সেচ দফতরের অন্তর্গত। তাই এঁরা জমির পাট্টা পান না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিষেকের কাছে। শোনামাত্র সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন তিনি। 


আরও পড়ুন: TET Scam: অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া ৫০ কোটির মধ্যে ছিল কুন্তলের টাকাও! চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির