বিশ্বজিৎ দাস ও সুকান্ত দাস, খড়গপুর : খড়গপুর স্টেশনে রেলের কাজের ধরন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে রেল আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


শনিবারই বিজেপি শিবিরে জোর ঝটকা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তারকা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলেরই হাতে থাকা রেলমন্ত্রকের কাজের ধরন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন গেরুয়া শিবিরের আরেক তারকা বিধায়ক। খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এরকমভাবে কাজ হবে, দেশের উন্নয়ন হবে ? রেলের যেসব অফিসার এখানে কাজ করছেন তাঁদের গাফিলতি।


খড়গপুর রেলস্টেশনে চলছে ফুটওভারব্রিজ তৈরির কাজ। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যাওয়ার সময় থমকে দাঁড়ান খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ। কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীর সঙ্গেও। তারপরই ক্ষোভ উগরে দিয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক। 


তিনি বলেন, এখানে কনস্ট্রাকশন চলছে। জিজ্ঞাসা করলাম কন্ট্রাক্টরকে, এখানে এতগুলো লেবার কাজ করছেন তাঁদের সেফটি কিট আছে ? দিনেদুপুরে অ্যাক্সিডেন্ট হলে কী হবে ? উনি বললেন, আমার কাছে কোনও সেফটি কিট নেই। এখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে, রেলের ইঞ্জিনিয়ার থাকবেন। কিন্তু তিনি কোথায় ? কোনও ইঞ্জিনিয়ার নেই, কোনও অফিসার নেই। রড কী করে বাঁধবে ? একজন হেল্পার এসে বললেন, কিছু জানি না।


এদিকে বিজেপির তারকা বিধায়ক রেলের বিরুদ্ধে সরব হতেই আক্রমণ শানাতে দেরি করেনি তৃণমূল। পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গেছে। দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে উচ্চস্বরে চিৎকার করছিলেন রেল এই কাজ করছে, রেল সেই কাজ করছে। আজ তাঁর দলের বিধায়ক হিরণ পৌঁছে বিরোধিতা করলেন। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, রেল নিধিরাম সর্দারের মতো কাজ করছে। কোনও ইঞ্জিনিয়ার নেই, কোনও স্টাফ নেই, ভাল কিছু পরিকল্পনা নেই। ধন্যবাদ হিরণকে কেন্দ্রীয় সরকার বা রেল দফতরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, মুখ খুলেছেন।


আরও পড়ুন ; খড়গপুরে রেলব্রিজের কাজে মালপত্র নেওয়ার জন্য ঠিকাদারদের চাপ দিচ্ছে তৃণমূল, অভিযোগ দিলীপের


বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজারকে ফোন করা হলে, তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।