সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়্গপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে ৫২১৭ ভোটে পরাজিত করা সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিনকে বহিষ্কার করল সিপিআই। ঘটনাকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।
 পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের ৪নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সেক হানিফের স্ত্রী মমতাজ কুদ্দুসিকে ৫২১৭ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন বাম প্রার্থী তথা সিপিআইয়ের নার্গিস পারভিন। তৃণমূল করতেন এই প্রার্থী ও তাঁর স্বামী সেক সাইজাদ। ২০১৫ সালে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করেছিলেন এই সেক সাইজাদ। সেবার অবশ্য তিনি হেরে যান। তবে এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়া এই ওয়ার্ডে দলীয় টিকিট না পেয়ে সিপিআই এর টিকিট নিয়ে বিপুল পরিমান লিড পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী। উল্লেখ্য রাজ্যের ১০৮ পৌরসভার ২২৭৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে হার-জিতের ব্যবধানে এটিই জয়ের ব্যবধানের সর্বাধিক রেকর্ড বলে দাবি করেছিলেন নার্গিস পারভিন। তবে জিতেও তৃণমূল বা দলনেত্রীর প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সুনাম করার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গ দিতে চান বলেও জানিয়েছেন নার্গিস পরভিন। আর এই ধরনের মন্তব্যের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল সিপিআই।


খড়গপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের গড় হিসেবে পরিচিত। বামেদের দাবি, ৫২ বছর ধরে তারা এই ওয়ার্ডে জিতে আসছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ২০১৫-র পুরভোটে এই ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যিনি সিপিআইয়ের হয়ে জিতেছিলেন, সেই শেখ হানিফ ভোটের পর তৃণমূলে যোগ দেন। এবার তৃণমূল নেতা শেখ হানিফের স্ত্রীকে হারান সিপিআই প্রার্থী নার্গিস পারভিন। কিন্তু, ভোটে জিতে এবার তিনিও তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলেন। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইয়ের সহ সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, ''যারা খড়গপুরে দলবদল করছেন মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে। মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ গেলে মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না।" 


আরো পড়ুন: বোর্ড পরীক্ষার সঙ্গে সংঘাত, সর্বভারতীয় জয়েন্টের সূচি পরিবর্তন