সমীরণ পাল, খড়দা (উত্তর ২৪ পরগনা): গভীর রাতে খড়দায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে খড়দা থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
কীভাবে খুন হলেন তৃণমূল নেতা? তাঁর সঙ্গীর অভিযোগ, রাতে তৃণমূল নেতার কাছে হুমকি-ফোন আসে। তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।গালিগালাজ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর খড়দার বড়পট্টি এলাকায় তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই বাইক রেখে রাস্তা আটকায় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কি চলাকালীন গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার গলার নিচে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।পুরো ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তৃণমূল নেতা খুনে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন, দাবি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। গোষ্ঠীকোন্দলের দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, নিহত রণজয় শ্রীবাস্তব আগে বিজেপি করতেন, এরপর তৃণমূলে যোগ দেন। সেই আক্রোশেই খুন বলে তৃণমূলের দাবি।