মুম্বই:  মহারাষ্ট্রে ক্রমশ বাড়ছে ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ। ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্টের কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা মহারাষ্ট্রে পাঁচ জন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।  তাদের মধ্যে রত্নগিরিতে দুটি এবং মুম্বাই, বিড় এবং রাইগড়ে একজন করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।


চিন্তার বিষয় হল ডেল্টা হানায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। তাঁদের কো-মর্বিডিটিও ছিল। জানা গিয়েছে এদের সকলেই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ পেয়েছিল। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে ৬৬ জনের। শুক্রবার নতুন করে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছে অনেকেই।


অগাস্ট মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪৫। বর্তমানে ২০টি নতুন কেসের মধ্যে সাতটি মুম্বাই, তিনটি পুনে এবং বাকি ছয়টি অন্যান্য জেলায়। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ১৩ আক্রান্ত নিয়ে এগিয়ে রয়েছে  জেলগাঁও। রত্নগিরি জেলায় ১২ জন এবং মুম্বইয়ে ১১ জনের মধ্যে এই সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।


এদিকে শুক্রবার প্রথম ডেল্টা প্লাসে মৃত্যু দেখল দেশ। মহিলা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তার পরেও বাঁচানো যায়নি। কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রিও নেই মহিলার।  অক্সিজেন সাপোর্ট, স্টেরয়েড এবং রেমডেসিভিরও দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। হিলার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তখনই জানা গিয়েছে ডেল্টা প্লাসের অস্বস্তিত্বের কথা।মহিলার আরও দুই আত্মীয় ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত বলেও জানা গিয়েছে।


মুম্বইতে মোট সাতজনের শরীরের করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির হদিশ মিলেছিল যারা প্রত্যেকেই টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন। ৬৩ বছরের এই মহিলাও তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন। ঘটনার খবর পেতেই কনট্যাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানান হয়েছে, "জেনেটিক সিকোয়েন্সিং টেস্ট করে দেখা গিয়েছে যে রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৬৫টি নমুনা ডেল্টা প্লাস পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট দিয়েছে।"