কলকাতা: হোটেলে ফেরার সময়, গাড়িতে অস্থির লাগছিল কে কে-কে (K K)। কখনও সিটে হেলান দিচ্ছিলেন, কখনও এলিয়ে পড়ছিলেন। একেবারে ওলোটপালোট খাচ্ছিলেন কে কে। জানিয়েছেন তাঁর গাড়ি চালক এতোয়ারি যাদব। চালকের দাবি, নজরুল মঞ্চের (Nazrul Manch) কনসার্ট শেষ করে গাড়িতে উঠেই কে কে বলেন, যাদব এসি বন্ধ করো। কাচ নামিয়ে দাও। শীত লাগছে। এর পরই হোটেলে ফিরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কে কে।
গাড়ি চালকের বক্তব্য: এতোয়ারি যাদব, কে কে-র গাড়িচাল, তিনি বলছেন, 'গাড়িতে এসি চলছিল। উনি বলেন, এসি বন্ধ করে দিতে। বলেন, ওঁর শীত করছে। আমি বলি, ঠিক আছে। গাড়িতে ম্যানেজার ও আরেকজন ছিলেন। কখনও সিট হেলিয়ে দিচ্ছিলেন। কখনও আবার সোজা হয়ে বসছিলেন। জিজ্ঞাসা করছিলেন হোটেলে পৌঁছতে আর কতক্ষণ লাগবে। আমি বলি, সিগনালে তো গাড়ি আটকাচ্ছে। ঠান্ডা লাগছে বলে এসি বন্ধ করে গাড়ির কাচ নামিয়ে দেন। গাড়ির ভিতর উলটে পালটে শুচ্ছিলেন, বসছিলেন। দেখে আমার ভাল লাগছিল না। ওঁরা সব নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম।'
সুরেলা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়েছে। চোখের জলে আজ গোটা দেশ শেষ বিদায় জানাবে গানের জাদুকরকে (K K Death)। মুম্বইয়ে (Mumbai) ভারসোভা শ্মশানে কে কে-র শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আন্ধেরি ওয়েস্টে পার্ক প্লাজার বাসভবনে শায়িত থাকবে মরদেহ। এরপর দুপুর ১টা থেকে শুরু হবে শেষযাত্রা।
হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু : গত ৩১ মে, হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যার কারণেই কে কে-র মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এমনই ইঙ্গিত ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সকের। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে হৃদযন্ত্র-সহ শরীরের নানা অঙ্গের অবস্থা পরীক্ষা করেছেন চিকিত্সকরা। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হৃদযন্ত্র-সহ বেশ কিছু অঙ্গে রোগের লক্ষণ নজরে এসেছে বিশেষজ্ঞদের। নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাসায়নিক পরীক্ষার ফল ও পর্যবেক্ষণের ফলাফল মিলিয়ে কে কে-র মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্তভাবে জানানো হবে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: K K Demise: 'নজরুল মঞ্চের বাইরে ভিড় দেখে প্রথমে গাড়ি থেকে নামতেই চাননি কে কে'