কলকাতা : সম্পূর্ণ ফিট একটা মানুষ। বন্ধুরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতেন। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে কোনওদিনই ছিলেন না। গানই জীবন, আর পরিবার নিয়েই খুশি। অল্পেই সন্তুষ্ট, সবসময় মুখে হাসি। আর স্টেজে উঠলেই ১০০ শতাংশ পারফরর্মার। সেই KK’ই হঠাৎ করে গুণমুগ্ধদের কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে।
চিরঘুমের দেশে কে কে
কিন্তু ফিট মানুষটা যে বেশ কিছুদিন ধরেই হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ক্রমে সামনে উঠে আসছে সেই তথ্যগুলো। আর যা দেখেই চিকিৎসকদরদের আফশোস, কাছের লোক যদি একটু আগে বিষয়গুলো ধরতে পারতেন, তাহলে হয়তো অকালে এভাবে গুণমুগ্ধদের একরাশ শোকের ডালি উপহার দিয়ে চিরঘুমের দেশে চলে যেতে হত না কে কে-কে।
চিকিৎসক (Doctor) শুভানন রায় বলেছেন, 'অনেকটাই সময় দিয়েছিলেন উনি। যদি আশপাশের মানুষগুলো ইঙ্গিতটা বুঝতে পারতেন, তাহলে হয়তো মানুষটাকে হারাতাম না। যদি একটা ইসিজি (ECG) বা ইকো করা যেন, তাহলেই বোঝা যেত। আগের দিনও ডিসকমফোর্ট হয়েছে, ফ্যাটিগ ছিল, এটাও তো হার্ট-অ্যাটাকের লক্ষ্মণ।'
চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা
চিকিৎসকরা বলছেন, শরীর একটু অস্বস্তি হলেই, সেটা উপেক্ষা না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এই অস্বস্তি, অস্থিরতা আসলে, সতর্কবার্তা। উপেক্ষা করলেই ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
কী তথ্য উঠে আসছে
পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য, সূত্রের খবর ‘দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগের সমস্যা যে ছিল, সেটা জানতেনই না কেকে’, পুলিশকে এমনই জানিয়েছেন অটোপসি বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গীতশিল্পীর হঠাৎ শরীর খারাপের পর তাঁর অকালপ্রয়াণ হলেও সমস্যা যে লম্বা সময় ধরেই ছিল, সেটা উঠে এসেছে কে কে-র স্ত্রীর কথাতেও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ‘হজমের সমস্যা ছিল ভেবে প্রচুর অ্যান্টাসিড (Antacid) খেতেন কে কে। ৩০ মে কলকাতায় এসে বলেন হাত-কাঁধে ব্যথা হচ্ছিল।' পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন- হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক! সতর্ক থাকলেই বাঁচানো যেতে পারে প্রাণ