কলকাতা : মাত্রাতিরিক্ত চাপ (Pressure), ব্যস্ত শিডিউলের ঘেরাটোপে জীবনযাপনের প্রতি প্রয়োজনীয় নজরের অভাব হোক বা পারিবারিক হার্টের সমস্যার ইতিহাস। একাধিক কারণের জেরে ক্রমশ বাড়ছে হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্তের সংখ্যা। বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক গঠন ভেদে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক। বলা হয় বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্যে দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ।
চিকিৎসকেরা বলেন, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হয়ে যাবার মত ঘটনা সাধারণ হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে হয়। আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া মানেই তা হার্ট অ্যাটাক নয়। কিন্তু খালি চোখে আলাদা করে বোঝার উপায় থাকে না। তাই সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করণীয়?
দেখে নিন কোন কোন ধাপে বাঁচানো যেতে পারে পারে
তাৎক্ষণিক-ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সমীক্ষায় প্রকাশ, চিকিৎসা পেতে এক ঘণ্টা দেরির জন্য মৃত্যুর হার বেড়ে যায় ১০ শতাংশ।
হার্ট অ্যাটাকের পরপরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন এবং গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন।
হার্ট অ্যাটাকের পর যদি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তার কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর চেষ্টা করুন।
হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীর যদি বমি আসে তাহলে তাকে একদিকে কাত করে দিন। যাতে সে সহজেই বমি করতে পারে। এতে ফুসফুসের মতো অঙ্গে বমি ঢুকে পড়া থেকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ষা পাবেন।
পাশাপাশি সিপিআর বা cardiopulmonary resuscitation পদ্ধতি ঠিকমতো প্রয়োগ করলে অনেকক্ষেত্রে রোগীর প্রাণসংশয় কমে যায় বলে জানিয়ে থাকেন চিকিৎসকদের একাংশ।
সিপিআর পদ্ধতি কোনও চিকিৎসকের কাছ থেকে হাতেকলমে শিখে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর কী সতর্কতা:
অ্যাম্বুল্যান্স (ambulance) আসার আগে বা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে বেশ কিছু দিকে নজর রাখতে হবে। রোগীকে কোথাও হেলান দিয়ে বসিয়ে দেওয়া যায়, অথবা শুইয়ে দেওয়া যায়। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাঁর কাছে যেটা সবচেয়ে সুবিধেজনক সেভাবেই রাখতে হবে। রোগীর ভয় পাওয়া স্বাভাবিক, এই সময়ে লাগাতার সাহস জুগিয়ে যেতে হবে। মানসিক ভাবে সাহসী থাকলে তা আদতে রোগীকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। যদি রোগী কোনও ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাঁকে সেটাই দিতে হবে।