শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: আবার জীবন সিংহের ভাইরাল ভিডিও (Viral Video)। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুমুল আক্রমণ করলেন কেএলও (KLO) প্রধান জীবন সিংহ।
কী অভিযোগ:
কেএলও নেতা জীবন সিংহের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি ও অবাঙ্গালির মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি। কলকাতার নেতাদের দালালি করছেন কিছু স্থানীয় নেতা, তাঁদেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধানের বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। আলাদা রাজ্যের বিরোধিতা করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের উত্তরবঙ্গ ছাড়া করার হুমকিও দেন কেএলও প্রধান।
সরব তৃণমূল:
কেএলও নেতার এই হুমকির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির (BJP) উস্কানি রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের।
বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'কেএলও একটি জঙ্গি সংগঠন। বন্দুকের মাধ্যমে নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।'
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন কেএলও নেতা জীবন সিংহ। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি সফরের আগে এই হুমকি দিয়েছিলেন কেএলও নেতা। সেবার পৃথক কোচ কামতাপুর রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন KLO’র প্রধান জীবন সিংহ। ভাইরাল ভিডিওয় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন। KLO প্রধানের গলায় উঠে এসেছিল জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, জয়ন্ত রায়ের মতো তিন বিজেপি সাংসদের নাম। সেবার কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন প্রধান জীবন সিংহ বলেছিলেন, "আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, খবরদার কোচ কামতাপুরের ওপর পা রাখবেন না। তোমরা কোচ কামতাপুর গঠনের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা করতে পারবে না।"
‘আমি অনেক বন্দুক দেখেছি, এসব বন্দুক দেখিও না। তোমাদের বন্দুক ভোঁতা করতে জানি।’ ওই হুমকির প্রেক্ষিতে, আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে এভাবেই কেএলও প্রধান জীবন সিংহকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ, নিজের বাড়িতেই ৭৫ লক্ষ টাকা চুরির ছক বধূর