কলকাতা: সোমবার থেকে কলকাতা পুরসভার কোভ্যাক্সিন সেন্টারগুলিতেই ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের জন্য মিলবে করবেভ্যাক্স। ৩৭টি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও চেতলা গার্লস হাইস্কুলে টিকাকরণ শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে কোনও স্কুল আগ্রহ প্রকাশ করলে, সেখানেও ভ্যাকসিনেটর পাঠিয়ে টিকাকরণ হতে পারে। আপাতত ২ সপ্তাহ কোভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকছে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের জন্য ৮৮ হাজার ভায়াল এসেছে পুরসভার হাতে। জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 


মার্চেই ১২ ঊর্ধ্বদের জন্য করোনার ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন। পাশাপাশি কোমর্বিডিটি না থাকলেও সব ষাটোর্ধ্বদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত দিনেই দেশজুড়ে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হলেও বাংলার কোথাও তা শুরু হয়নি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, সরকারি ক্ষেত্রে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। 


এ পর্যন্ত সরকারি ক্ষেত্র হোক কী, বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম। বুধবার কোথাও কর্মসূচি শুরু না হলেও এই সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। 


১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ভ্যাকসিন পাঠায় কেন্দ্র। ওইদিন ৩০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯০০ করবেভ্যাক্সের ডোজ পাঠানো হয়।  বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে ভ্যাকসিন আসার পর, প্রায় ২৫ লক্ষ ডোজ জেলায় জেলায় বণ্টনও হয়েছে। 


তারপরেও এদিন ভ্যাকসিনেশন শুরু হল না। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য রাজ্যস্তরে প্রস্তুতি চলছে। এজন্য আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে।


গোটা রাজ্যে আনুমানিক ৩০ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে প্রথম ডোজ দেওয়ার মতোই ভ্যাকসিন আছে। সেইমতো সোমবার এই কর্মসূচি শুরু হতে পারে।


স্বাস্থ্য ভবন যখন এই দাবি করছে, তখন গত বুধবার বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে গিয়ে দেখা গেল এই ছবি। জানা গিয়েছিল, কলকাতায় প্রায় ৬ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন বণ্টন হয়নি। সরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি, এদিন বেসরকারি জায়গাতেও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। 


এ দিকে, কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এদিন থেকে ষাটোর্ধ্বদেরও প্রিকশন ডোজ শুরু হয়েছে। কো-মর্ডিবিটি নেই, ষাটোর্ধব এমন ব্যক্তিরাও এই ডোজ নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ পর তা নেওয়া যাবে।