কলকাতা: তীব্র উত্তেজনার মধ্যে চলছে কলকাতা পুরসভার (KMC Election 2021) ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে বাড়িতেই বন্দি থাকলেন একদা রাজ্যের ভোটযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সেনাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। ভোট দিতে এলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। মায়ের সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুচেতনা। ভোট হলেই তাঁদের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচনে ভোট দিতে আসেননি তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দেননি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতি সম্পর্কে উৎসাহ এখনও বরাবরের মতোই রয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে স্বাস্থ্য। মীরা ভট্টাচার্য ভোট দিতে এসে জানালেন, সিওপিডি-র পুরানো সমস্যা তো রয়েইছে। সেইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। কার্যত শয্যাশায়ী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
মীরা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত খবর রাখেন তিনি। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয় তাঁকে।রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন তিনি. রাজনীতি সম্পর্কে বরাবরের মতো প্রখর আগ্রহ থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার অভাবের কারণে মতাধিকার প্রয়োগ করতে আসতে পারলেন না তিনি। সমস্যা বলতে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি লিখিত বিবৃতিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একটি ভয়েস বার্তায় একই আর্জি জানিয়েছিলেন।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। ২০১৯-র লোকসভা ভোটের আগে বামফ্রন্টের ব্রিগেডের সভায় এসেছিলেন তিনি। তবে মঞ্চে ওঠেননি। ব্রিগেড ময়দানে গাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।কোভিড সংক্রমিত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও।
এর কয়েকমাস আগেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।