কলকাতা: বৃষ্টির বড় ঘাটতির পর সবে ভেজা শুরু করেছে তিলোত্তমা। তারপর এবার পরপর কয়েকদিন বৃষ্টির ভালই পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু কলকাতা আছে কলকাতাতেই। প্রায় প্রতিবছরের মতো এবারও সেই জমা জল (Water Logging) নিয়ে সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। আর এবার জল ঘোলা হয়েছিল মূলত জল জমা নিয়েই। মেয়রের সঙ্গে মেয়র পারিষদের মধ্যে মোড় নিয়েছিল সংঘাত। শহরে জল জমা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ মেয়র। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'সরকারি সিস্টেমই খারাপ, ফুটবলের মতো শুধু একে অপরকে পাস করে।' তবে এখানেই শেষ নয়, মেয়র পারিষদ তারক সিংহের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এরপরেই গতকাল  তারক সিংহর প্রতিক্রিয়া আসে, 'আগামীকালই পদত্যাগ করব।' তবে সেই আগামীকালটা আসলে আজই। যদিও ২৪ ঘণ্টায় ছবিটা বদলেছে। জমা জলের নয়। মেয়রের সঙ্গে মেয়র পারিষদের সংঘাতের। মেয়রের ফোনে হয়েছে মানভঞ্জন, পদত্যাগ করছেন না তারক সিংহ (Tarak Singh)।


ভাইকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত ছিলেন মেয়র : তারক সিংহ


জানা গিয়েছে, গতকাল কলকাতায় জমা জল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মেয়র। নিকাশি বিভাগের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ হাকিম। জমা জলে নিজের ভাইয়ের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন মেয়র। মেয়রের ক্ষোভপ্রকাশের পর পদত্যাগের কথা জানান মেয়র পারিষদ। পরে ফিরহাদের সঙ্গে কথার পর পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেন তারক সিংহ। তাঁর কথায়,'মেয়র আমাকে বলেছেন, তিনি সরাসরি এসব কথা আমাকে বলতে চাননি।একটা সরকারি সিস্টেমের বিষয়ে বলতে গিয়ে মেয়রের এই মন্তব্য', দাবি তারক সিংহের। তারক সিংহ আরও বলেন, 'স্বাভাবিকভাবেই ভাইকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত ছিলেন মেয়র। জোয়ার ভাটার কারণে লকগেট বন্ধ থাকায় মোমিনপুরে সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে মেয়রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব, জানিয়েছেন তারক সিংহ।


আরও পড়ুন, ৩৩ বছরেই সব শেষ, ফের কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মহিলার


আমি ওনাকে কিছু বলিনি : ফিরহাদ


অপরদিকে, ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'তারক সিংহ আমার টিমের সদস্য, আমি ওনাকে কিছু বলিনি। জমা জলের সমস্যা মেটাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মেয়র পারিষদ নিকাশি। অনেক সময়ে কর্মীরা ভুল রিপোর্ট দেন, দাবি মেয়রের। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই কলকাতার একাধিক জায়গায় প্রবল বর্ষণ হলে তো বটেই, হালকা বৃষ্টিতেও জল জমে যায়। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পৌছয় শহরবাসী। এদিকে শহরের অনেক জায়গাতেই উন্মুক্ত হয়ে থাকে বিদ্যুৎতের তার। আর তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক শহরবাসীর।