পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : রাশিয়ার (russia) হামলায় জ্বলছে ইউক্রেন (ukraine)। সেখান থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের (indian students) উদ্ধারই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই কঠিন লড়াইয়ে সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’য় (operation Ganga) প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন এক বঙ্গতনয়া। মহাশ্বেতা চক্রবর্তী (Mahasweta Chakraborty)। দমদমের (dumdum) বাসিন্দা মহাশ্বেতা বিমান চালক (pilot)।


কফি-বিস্কুট খেয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা বিমান ওড়ানো। যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়া, ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনেন মহাশ্বেতারা। বঙ্গতনয়া বলছিলেন, ভয়ের যে কি আসল মানে, ওই স্টুডেন্টদের মুখেই দেখেছি। ওরা ভাবতেই পারছে না, ওরা সেফ না, সেফ নয়।


কীভাবে এই কর্মযজ্ঞে ঝাঁপ? ফোনটা এসেছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চতুর্থ দিন। তখন গভীর রাত। ঘুমোচ্ছিলেন মহাশ্বেতা। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি শুধু বলেছিলেন, একটা মিশনে যেতে হবে। ব্যাস...এইটুকুই। প্রথম গন্তব্য দিল্লি। এরপর, ইস্তানবুল। সেখানে গিয়েই জানতে পারেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’র জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এরপর কখনও পোল্যান্ড, কখনও হাঙ্গেরি, কখনও আবার রোমানিয়া। বিমান নিয়ে উড়ে গেছেন মহাশ্বেতা। ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন নিরাপদ স্থানে। 


মহাশ্বেতা চক্রবর্তী বলছিলেন, দু’ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়, জানানো হয় একটা মিশনে যেতে হবে। বাড়িতে না বলেই গেছিলাম। অন্য রকম একটা জায়গা, অন্যরা যেখানে ফিরছে, আমি সেখানে যাচ্ছি। ডিউটি যা সে তো করতেই হবে। এটা আমার কাছে লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স। একটা টিম চ্যালেঞ্জ ছিল।


৫ মার্চ রাতে রওনা দিয়ে, ৬ মার্চ দিল্লিতে আসেন মহাশ্বেতা। তারপর, বাড়ি ফেরা। ‘অপারেশন গঙ্গা’য় অংশ নেওয়া, তাঁর জীবনকে দেখার ভঙ্গীই বদলে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এই বঙ্গতনয়া।


আরও পড়ুন- যুদ্ধের মর্মান্তিক জের, ইউক্রেনে প্রতি মিনিটে গৃহহারা একজন করে শিশু


ইউক্রেনে গত ২০ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৭০,০০০ শিশু উদ্বাস্তু হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি মিনিটে একটি শিশু উদ্বাস্তু হচ্ছে। জেনেভায় এমনটাই জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে।