সমীরণ পাল, বিটন চক্রবর্তী ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: চেনা মানুষ অচেনা ভূমিকায়। পুজোর কদিন রাজনীতির (Politicians) ব্যস্ততা ভুলে আনন্দে মেতে ওঠা। অষ্টমীর সন্ধেয় নিজের এলাকায় বসিরহাট বদরতলা মিলন সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজালেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। বসিরহাটের (Basirhat) তৃণমূল (TMC) সাংসদের সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় (Saptarshi Banerjee)। নবমীর সকালে মহিষাদল রাজবাড়িতে উপস্থিত জুন মালিয়া (Jun Malia)। আত্মীয়তার সূত্রে প্রতিবার পুজোর সময় এখানে আসেন মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক। নবমীর দিন শ্রীরামপুরে পাড়ার মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। করলেন মায়ের পুজোও।
বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) চেনা রাজনীতিকদের পাওয়া গেল অচেনা ভূমিকায়। কেউ বাজালেন ঢাক, বোলের সঙ্গে কেউ আবার মেলালেন পা। উৎসবে রঙিন অভিনেত্রী-রাজনীতিক নুসরত জাহান, জুন মালিয়ারা। পাড়ার পুজোয় চণ্ডীপাঠ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুন মালিয়া, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরত জাহান। নেই কোনও জনসভা, মাইকে গরম গরম বক্তৃতা। নেই দলের ফেস্টুন, ব্যানার, পতাকা। বছরভর রাজনীতির ব্যস্ততার মধ্যে যেন একটুকরো অবসর! নবমীর সকালে মহিষাদল রাজবাড়িতে গিয়ে প্রাণের উৎসবে মাতলেন জুন মালিয়া। দুর্গাদালানে গিয়ে নবমীর অঞ্জলি থেকে আরতি উপভোগ। এমনকী ঢাক বাজাতেও দেখা গেল মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ককে।
আত্মীয়তার সূত্রে প্রতিবার পুজোর সময় মহিষাদল রাজবাড়িতে আসেন জুন মালিয়া। কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ঢাকের বোলে কোমর দোলাতেও দেখা গেল অভিনেত্রী-রাজনীতিককে।
অন্যদিকে নিজের সংসদীয় এলাকায় বসিরহাট বদরতলা মিলন সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজালেন নুসরত জাহানও। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী-সাংসদকে কাছ থেকে দেখার জন্য এলাকার মানুষের মধ্যেও উপচে পড়ল উৎসাহের আবেগ। অষ্টমীতে শ্রীরামপুরে পাড়ার মণ্ডপে দেবীর সামনে হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন। নবমীতে উদাত্ত গলায় চণ্ডীপাঠ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধি মেনে মায়ের পুজো করতেও দেখা গেল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে।
উল্লেখ্য, বেলেঘাটা বান্ধব সমিতির পুজোর বয়স ২৮ বছর। মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমায় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। পাড়ার লোকেরাই মণ্ডপ সাজিয়েছেন, এটাই এই পুজোর বৈশিষ্ট। উত্তর কলকাতার এই পুজো এবার ১০৪ বছরে পা দিয়েছে। গতকাল রাতভর জনজোয়ারের পর, আজ সকালে নবমীর পুজো দেখতে বাগবাজার সর্বজনীনে মানুষের ঢল। রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। শেষ মুহূর্তের সব আনন্দ উপভোগ করে নিতে গতকাল ম্যাডক্স স্কোয়ারে ভিড় উপছে পড়েছিল। আজ সকাল থেকে নবমীর পুজোর প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে ভোগ বিতরণ।