সন্দীপ সরকার, কলকাতা : উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, একদিনে কলকাতা,পঃ মেদিনীপুরে ৩ জনের মৃত্যু। সল্টলেকের বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রৌঢ়ের মৃত্যু (Dengue Death)। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৬ বছরের পিনাক সরকার।


গত ১৫ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গতকাল রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের (Dengue Shock Syndrome) উল্লেখ রয়েছে। খড়্গপুরে ও ঘাটালে আরও দুই মহিলারও মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে গত ২৪ ঘণ্টায় এই ৩ মৃত্যুর জেরে রাজ্যের ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৩৯-এ। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খড়গপুরে ডেঙ্গিতে মৃত্য়ু হয়েছে এক গৃহবধূর। ১৮ ই সেপ্টেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন, খড়গপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুনিতা মল্লিক। বুধবার খড়গপুরেই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায়, বৃহস্পতিবার তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকায় আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। খড়গপুরের পাশাপাশি, ঘাটালেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃতের নাম সাবিনা বিবি। 


ডেঙ্গির উপসর্গ আগের তুলনায় অনেকটাই বদলে গেছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা (Doctors)। ডেঙ্গির সাধারণ উপসর্গ অনেক সময়ই থাকছে না আক্রান্তের শরীরে। চিকিৎসক সুমন পোদ্দার জানাচ্ছেন, ২ টো জিনিস দেখতে পাচ্ছি। ডেঙ্গি মানেই যে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, ব্রেক বোন ফিভার বলতাম যাকে। এবার ব্যথা নেই দেখা যাচ্ছে । আগে আমরা জানতাম একটা বাচ্চা সর্দি-কাশি নিয়ে আসছে। আমরা ধরে নিতাম ডেঙ্গি নয় ফ্লু। এবার পরে পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গি। যা নিয়ে উদ্বেগ ঘিরে চিকিৎসক জয়দেব রায় বলেছেন, বাড়িতে থেকে সময় নষ্ট করবেন না। জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে। সিচুয়েশন হাতের বাইরে চলে গেলে আর কিছু করার থাকবে না।


এর মাঝেই জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের জেরে এবার থেকে সন্ধেতেও খোলা থাকবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোর (Outdoor)। সপ্তাহে ২ দিন, মঙ্গল ও শুক্রবার সন্ধেতেও খোলা থাকবে আউটডোর। বাকি ৪ দিন সকালে খোলা থাকবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র।


আরও পড়ুন- সরকারি মতে ৩, বেসরকারিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৩৬ জনের, রাজ্যে এখনও আক্রান্ত ২৮ হাজার ৬৭ জন