আবির দত্ত, কলকাতা : রাতের শহরে নিউটাউনে বেপরোয়া গতির বলি দুই বাইক আরোহী। গুরুতর জখম হন আরও একজন। গতকাল রাত ২টো নাগাদ ইকো পার্কের সামনে মিষ্টি হাবের কাছে দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বাইক আরোহীই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন বাইক চালক। ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম আরও একজনকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে।
রাতের শহরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে বিভিন্ন জায়গায়। পাশাপাশি নিউটাউনের একাধিক জায়গাতেও একের পর এক জায়গাতে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়েছিল পরিস্থিতি। যার কিছুদিনের মধ্যেই ফের আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই। যেখানে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক মহিলা।
গত শনিবার এজেসি বোস উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুটি মোটরবাইকের সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছিলেন। সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। SSKM-এর দিক থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাওয়ার পথে, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে আহত হন দ্বিতীয় বাইকের সওয়ারি। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
গত মঙ্গলবার মা উড়ালপুলে ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন এক বাইক আরোহী। চিনা মাঞ্জায় আহত হয়েছিলেন এক বাইক আরোহী। বিকেলে SSKM-এর দিক থেকে সল্টলেকের দিকে যাওয়ার সময়, দুর্ঘটনা ঘটে। চিনা মাঞ্জায় ডান চোখে আঘাত পান বজবজের বাসিন্দা, বছর তেইশের ওই তরুণ। বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ওই বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে। তরুণের চোখে ৬টি সেলাই পড়ে। আহত তরুণ জানিয়েছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের নজরদারি সত্ত্বেও কীভাবে চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠে।
পাশাপাশি গত বুধবার সাতসকালে শিয়ালদায় বেপরোয়া বেসরকারি বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ NRS হাসপাতালে সামনে মহিলাকে ধাক্কা মারে বেলঘরিয়া থেকে গলফ গ্রিনগামী ২৩৪ নম্বর রুটের বাস। গুরুতর আহত মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। বাসের চালককে আটক করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ।