আবির দত্ত, বাঘাযতীন: রাস্তায় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা, বাঘাযতীনে (Baghajatin) চিকিত্সকের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি (Molestation) মারধর ও অশ্রাব্য গালিগালাজের অভিযোগ উঠল এলাকারই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। মহিলার অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তি তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। মহিলা ভয়ে নিজের গাড়িতে উঠে পড়ায়, ম্যাটাডোর নিয়ে তাঁর গাড়িকে বারবার ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাতে পাটুলি থানায় গেলেও এলাকা ভাগের কারণ দেখিয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়নি মহিলার দাবি। অভিযোগকারিণীর দাবি, পুলিশ তাঁকে গাড়ি চালিয়ে নেতাজিনগর থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। শেষপর্যন্ত নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মহিলার দাবি, পুলিশ জানিয়েছে, আইনি নোটিস পেয়ে অভিযুক্ত না এলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে। মহিলার দাবি, তাঁর চিকিত্সক স্বামী কর্মসূত্রে ফ্রান্সে রয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত।


হোটেলে হামলা: গতকালও খাস কলকাতায় এক ব্যবসায়ী দম্পতির ওপরে জুলুমের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী দম্পতিকে চাঁদার জন্য জুলুমের অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দাবি মতো ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারলে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ দিকে, ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।


এবার শিয়ালদা। খাস কলকাতার বুকে ফের চাঁদার জন্য জুলুম, হুমকির অভিযোগ! আতঙ্কে হোটেল মালিক দম্পতি। বৃহস্পতিবার ঘড়িতে সবে দুপুর দেড়টা। শান্তিতেই দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন এঁরা। আচমকা, হোটেলে ঢুকে টেবিলের উপর টাকার বান্ডিল ফেললেন এই ব্যক্তি। শুরু হল বচসা! এর পর, আরেক ব্যক্তি এসে হোটেলে ঢুকে কাউন্টারের দিকে তেড়ে গেলেন! হোটেলের কাউন্টারে থাকা ব্যক্তির হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন!


কলকাতা পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠল। যদিও এই, CCTV ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। কালীপুজোয় দাবিমতো চাঁদা দিতে না পারায় হোটেল বন্ধের হুমকি! শিয়ালদার বৈঠকখানা রোডের ছোট হোটেল চালান জয়ন্ত সাহা ও শিবানী সাহা। দম্পতির দাবি, কালীপুজোর আগে, স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর রায় ওরফে পল্টু ও তাঁর ছেলে প্রীতম রায় চাঁদা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে ৫ হাজার টাকা দেন তাঁরা। সাহা দম্পতির অভিযোগ, তার জেরে বৃহস্পতিবার হোটেলে এসে চড়াও হন প্রবীর ও তাঁর ছেলে প্রীতম। দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় শুরু হয় বচসা।


অভিযোগকারী ব্যবসায়ী জয়ন্ত সাহা বলছেন, আমি বসেছিলাম। দেড়টার সময় বসে ছিলাম। টাকা মুখে উপর ছুড়ে দেয়। বলে দাবিমতো টাকা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেবে, এরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। বাড়ির পুজো সকলের থেকে চাঁদা তুলে করছে।


অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর স্ত্রী শিবানী সাহার কথায়, আমাদের যা সামর্থ তাই দিয়েছি। ওরা নেয়নি। দোকান বন্ধের হুমকি দিয়েছে। আমরা ভয়ে আছি। যদিও, অভিযুক্তদের দাবি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।