প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিগত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে শহর কলকাতার চেহারা। গঙ্গারাড়ে গজিয়ে উঠেছে গগনচুম্বী অট্টালিকা। ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে, গাড়ি-ঘোড়ার চাপে রাস্তায় পা রাখাই দায়। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও পাল্টায়নি ইতিহাস, শিল্প, ঐতিহ্য সংরক্ষণের তাগিদ। সেই তাগিদ থেকেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ দেখা গেল বেহালায়। শুরু হল আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব।
বেহালায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের বড় বাড়িতে শুরু হল আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব (International History Festival)। চলবে ৮ তারিখ পর্যন্ত। সবার জন্য উৎসবের দরজা খোলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। কোনও প্রবেশমূল্য নেই (Kolkata News)।
সবার জন্য উৎসবের দরজা খোলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত
প্রায় আড়াই লক্ষ বছরের পুরনো আদিম যুগের অস্ত্র রয়েছে এই উৎসবে। রয়েছে মহানায়ক উত্তমকুমারের (Uttam Kumar) ব্যবহৃত জিনিস, সাধক রামপ্রসাদ সেনের সই করা প্রাচীন নথি, বেহালা সখেরবাজারে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের বড়বাড়িতে গেলে এক ছাদের নিচে দেখা যাচ্ছে এইসব দুষ্প্রাপ্য় জিনিস এবং নথি। রবিবার থেকেই শুরু হল উৎসব। সকাল থেকেই সেখানে দেখা গেল মানুষ জনকে।
সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার এবং পরিষদের আয়োজনে শুরু হল সপ্তদশ আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব। রবিবার উদ্বোধন হল উৎসবের। এবারের থিম কান্ট্রি কেনিয়া। প্রস্তর যুগ থেকে আধুনিক সময়- মোট সাতটি থিমে বাঁধা হয়েছে এবারের উৎসবকে।
সেখানে রয়েছে আদিম যুগে তৈরি পাথরের অস্ত্রশস্ত্র। ঋষি অরবিন্দ, উত্তমকুমার এবং সঙ্গীতশিল্পী বিমান মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীও। ডাকটিকিট এবং পোস্টকার্ডে ফুটে উঠেছে কলকাতার ইতিহাস।
রয়েছে আদিম যুগে তৈরি পাথরের অস্ত্রশস্ত্র, উত্তমকুমার ও সঙ্গীতশিল্পী বিমান মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীও
সাধক রামপ্রসাদ সেনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ইতিহাস। উৎসবে তুলে ধরা হয়েছে সেই ইতিহাসও। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। বুধবার পর্যন্ত চলবে উৎসব। দরজা খোলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাচ্ছে এই উৎসবস্থলে। তাই সেখানে মানুষ জনের কমতি নেই। রবিবার ছিল ছুটির দিন। শিল্প সচেতন মানুষ তাই পৌঁছে যান ঠিকানা খুঁজে। তাতেই অতীত এবং বর্তমান তধরা পড়ে এক ফ্রেমে।