কলকাতা: ভবানীপুরের  ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ ( Kolkata Building Collapsed) । বাড়ি ভেঙে এক যুবক আহতও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।


জানা গিয়েছে, ভরসন্ধেয় ভবানীপুরের ৩ নম্বর পূর্ণ দাস রোডে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।যখন ঘটনাটি ঘটে, বাড়ির ভিতরে ছিলেন এক যুবক। বাড়ি ভেঙে পড়ায়, তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।  ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম-এ (SSKM) নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ওই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা পাপ্পু দাসের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র মারফত খবর,স্থানীয় একটি খাবারের দোকানে কাজ করতে মৃত পাপ্পু। 


অপরদিকে, মর্মান্তিক এই ঘটনার পর পরিত্যক্ত পাম্প হাউসগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? এনিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। প্রসঙ্গত, বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা কলকাতা শহরে নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার পুরনো বাড়ি ভেঙে শহরের একাধিক বাসিন্দা আহত হয়েছেন। তবে এনিয়ে সতর্ক করে এসেছে বরাবর কলকাতা পুরসভা। বাড়ি পরীক্ষা করে, 'বিপজ্জনক' বলে , বাড়ি 'বসবাসের যোগ্য নহে'  নোটিসও টানিয়েছে। তবুও মায়া ত্যাগ করতে পারেননি প্রথমে অনেকেই।


ভাঙা বারান্দাতেও ভেজা কাপড় জামা শোকানোর দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কচিকাচারাও ভোরের আলোয় বই পড়তে বসেছে। কিন্তু রোদ-ঝড়-বৃষ্টি তো কারও কথাই মানে না। মায়া ত্যাগ করে একটু একটু করে ভিত আলগা করে শহরের পুরনো বাড়িগুলি। তারপর একদিন হঠাৎ প্রকাশ্যে এসেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা। প্রথমত, এক্ষেত্রে অনেকসময়ই বাসিন্দাদের যুক্তি যাবোটা কোথায় ? বিকল্প কিছু মিললে যদিও অনেকেই ঘর ছেড়েছেন। অনেকে সে সুযোগ পাননি। ঘুমের ঘোরে অনেকেই আহত হয়েছেন।
 


আরও পড়ুন, 'শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..', বিস্ফোরক শুভেন্দু


তবে ভবানীপুরের এই বাড়ি ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়ল, তার কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি সেভাবে না হলেও, গতকাল এবং আজ বেশ অনেকটা পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। তবে তা বৃষ্টির ঘাটতি মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আর এই বৃষ্টির মাঝেই এদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি হল। তবে আগে থেকেই ওই বাড়িটির খারাপ অবস্থা ছিল কিনা, নাকি আচমকই ভেঙে পড়ল, তা পরবর্তীতে উঠে আসবে। তবে এহেন দুর্ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠল নাগরিক নিরাপত্তায়। এরপরে শহরবাসীর শান্তির ঘুম আসবে তো ? ফিসফিস গুঞ্জন পুরনো এই চুন সুড়িকির স্বপ্ন নগরীতে।