সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: অসুস্থ ডিএ-ধর্নামঞ্চের অনশনরত এক আন্দোলনকারী (DA Protests)। শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ ভাস্কর ঘোষকে (Bhaskar Ghosh) ভর্তি করা হল হাসপাতালে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। হার্ট ক্লিনিকে নিয়ে আসার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। আন্দোলনে বাধা দিতেই অসহযোগিতা, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের (Kolkata News)।


ভাস্করকে নিয়ে যাওয়া হল সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে


রবিবার সন্ধেয় অসুস্থ হয়ে পড়েন ভাস্কর। এ দিন সন্ধের দিকে আচমকা অসুস্থ বোধ করেন ভাস্কর। সজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। অনশনের প্রথম দিন থেকেই রয়েছেন তিনি। এর পর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।


আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, যে গাড়িতে তোলায় হয় ভাস্করকে, সেই গাড়ির চালক কিছু না জানিয়েই এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে নিয়ে চলে যান। উডবার্ন ওয়ার্ডে ভাস্করকে ভর্তি প্রচেষ্টা হয়। পুলিশের তরফে অনশন ভাঙার একটা প্রচেষ্টা হতো হয়ত সরকাররে তরফে। সেই নিয়ে বচসা শুরু হয়।  গাড়ি থেকে নামিয়ে ভাস্করকে মিডিয়ার গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাবে বলে স্থির হয়।


আরও পড়ুন: Adenoviruses: অ্যাডিনোয় ৪৫ লক্ষের বিল! হাসপাতালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, সর্বস্বান্ত পরিবার


তাতেই চাপে পড়ে, পুলিশ সল্টলেকে ভাস্করকে নিয়ে যেতে সম্মত হয় বলে দাবি। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শেষ নেশ সল্টলেকে ভাস্করকে নিয়ে যাওয়া গেলেও, গোটা রাস্তা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। ১০ মিনিটের রাস্তা মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় নিয়ে পার করানো হয়। এদিক ওদিক ঘোরানো হয় গাড়ি। তাতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়।


পুলিশের তরফে বিভিন্ন তরফের বার্তা আসে বলেও দাবি উঠছে। ময়দান থানা একরকম কথা বলে...হতে পারে সরকার দেখছে, ২৬ দিনের অনশন হয়েছিল একটা। ভাস্কর ২৪ দিন অনশন করেছেন। এক্ষেত্রে পরাজয়ের দৃষ্টান্ত গড়়ে উঠতে পারে। অনশন যদি ভেঙে যায়, সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে সরকার। ভাস্কর যেহেতু আন্দোলনের মুখ, ভেঙে গেলে সরকারের সুবিধা হতো।


ভাস্কর স্থিতিশীল, তবে কাটছে না উদ্বেগ


এই মুহূর্তে ভাস্কর স্থিতিশীল হলেও, তাঁর পালস রেট ৫০-এর কাছাকাছি। ওঠানামা করছে রক্তচাপ। কখনও ১৫০, কখনও আবার ১০০-র কাছাকাছি চলে আসছে। তাঁর মূত্র পরীক্ষা করা হবে। চিকিৎসকরা তার পর জানাবেন, কতদিন ভর্তি রাখতে হবে ভাস্করকে। এখনও পর্যন্ত খানিকটা অচেতনই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঝাঁকানি দিলে তবেই চোখ খুলছেন তিনি।