পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বিদ্যুতের বিল (Due Electric Bill) বাকি থাকার কথা বলে গলফ গ্রিনের এক চিকিৎসকের (Doctor Duped) অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বাগুইআটি থেকে চক্রের ৩ পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা (Kolkata Police Cyber Crime Department)। পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা জমা পড়েছে মোবাইল গেমিং অ্যাপে (Mobile Gaming App)।


প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস


জামতাড়া গ্যাংয়ের ধাঁচে কলকাতায় বসে চলছিল প্রতারণা চক্র। সাইবার প্রতারণার লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হচ্ছিল গেমিং অ্যাপে। একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল কলকাতা পুলিশের হাতে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারণা চক্রের ৩ পাণ্ডাকে। বিদ্যুতের বিল বাকি থাকার কথা বলে গলফ গ্রিনের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। 


ঠিক কী হয়েছিল


পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর কাছে ৯ ডিসেম্বর, একটি মেসেজ আসে।  তাতে বলা হয়, বকেয়া বিল পেমেন্ট না করলে বিদ্যুতের কানেকশন কেটে দেওয়া হবে। কিছুক্ষণ পর ফোন করেও একই কথা বলা হয়। চিকিৎসক জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ইলেকট্রিক বিলের টাকা অটোমেটিক জমা পড়ে যায়। তখন লিঙ্ক পাঠিয়ে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। অভিযোগ, এরপরই ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায়, ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা! কিছুক্ষণ পরে ফের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা।


প্রসঙ্গত, সিইএসসি ও কলকাতা পুলিশের তরফে এই ধরণের মেসেজে যে প্রতারণা ফাঁদ লুকিয়ে, সেটা জানিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সতর্কর্তামূলক বার্তা দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। 


অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ


১০ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে জানা যায় চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাগুইআটিতে অভিযান চালিয়ে তরুণ খাণ্ডেলওয়াল, রোহিত খাণ্ডেলওয়াল ও রাজেশ শর্মা নামে প্রতারণা চক্রের ৩ পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ২১টি ডেবিট কার্ড, একাধিক প্যান ও আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাস বই, ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। 


আগেও পর্দাফাঁস


গতবছরই সেপ্টেম্বরে গার্ডেনরিচের বাসিন্দা আমির খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডির অভিযানে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। হদিশ মেলে বিপুল টাকা আয়ের টোপ দিয়ে গেমিং অ্যাপে প্রতারণা চক্রের। আর এবার সাইবার প্রতারণার লক্ষ লক্ষ টাকা গেমিং অ্যাপে বিনিয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। 


আরও পড়ুন- এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কয়লার টাকা পাচারের চেষ্টা করছিলেন, বালিগঞ্জে অর্থ উদ্ধার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র