কলকাতা : দোলের (Dol Utsav) দিনে মর্মান্তিক পরিণতি। কলকাতার (Kolkata) দুই জায়গায় দুই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। আজ মানিকতলার (Maniktala) অরবিন্দপল্লিতে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় বছর ৫০-এর সুশান্ত পাইনের মৃতদেহ। অন্যদিকে, একইভাবে রানিকুঠির একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ২৯ বছরের রাহুল হাজরার। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত দু'জনই এদিন সকাল থেকে রঙ খেলেন। তারপর পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান দু'জনই। পরে পুলিশ এসে ডুবুরি নামিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। দোল খেলার পর জলে নেমেই কি মর্মান্তিক পরিণতি ? খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ (Police)।


মানিকতলায় জলে ডুবে মৃত্যু বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃতের নাম সুশান্ত পাইন। দুপুর ৩ টে নাগাদ পুকুরে ডুবে যান বলে অভিযোগ। বাড়ির কাছেই 
কয়েকজন কিশোর দেখতে পান। যারপরই খবর দেওয়া পুলিশ দমকলে। জানা যায় পুকুরের কাছে ডুবুরি পৌঁছয় বিকেল চারটেয়। আধঘণ্টা তল্লাশির পর পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, আবির খেলার পর পুকুর পাড়ে বসেছিলেন। তারপর তিনি কীভাবে পুকুরে পড়ে গেলেন, নাকি তিনি নিজেই জলে নেমেছিলেন, তা নিয়ে খোঁজখবর করা শুরু করেছে মানিকতলা থানা। 


আরও পড়ুন- বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে আগুন, তীব্র আতঙ্ক


মাসখানেক আগে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল যুবকেরও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল (Sankrail) ব্লকের জকুয়া গ্রামে। সৌমিত্র জানা (১৭) ও সুব্রত জানা (২০)। একজন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, অন্য জন প্রথম বর্ষের ছাত্র। সম্পর্কে এরা দু ভাই। গত বছরের শেষে পিকনিক করতে গিয়েই হারাতে হয়েছিল প্রাণ। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বড়দিনে পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি,নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় যুবকের। গতবছর বড়দিনে পিকনিক করতে গিয়ে কেলেঘাই নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। রবিবার বিকেলে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৪ নম্বর দশগ্রাম অঞ্চলের দেহাটি কেলেঘাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। মৃত যুবকের নাম শুভেন্দু দে। বয়স ২২ বছর। পাশাপাশি গত বছরের শুরুর দিকে মায়াপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ছাড়ি গঙ্গার জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবক ও এক যুবতীর। ঘটনাটি বুধবার রাতে মায়াপুরের গঙ্গানগরে ঘটেছে। মৃত ওই দুজন হলেন ২১ বছর বয়সী মলয় সাহা ওরফে বিশ্বরূপ ও ৩৫ বছর বয়সী লীলা অবতার দাস। জানা গেছে, মৃত ওই যুবক মায়াপুর হাসপাতাল পাড়ায় মামার বাড়িতে থাকত। তার আসল বাড়ি শক্তিনগরের বৈকুণ্ঠ সড়কে। অন্যদিকে ওই যুবতী চায়নার বাসিন্দা।