উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সুনীত হালদার ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: এবার দিয়েগো মারাদোনার নামে ডিওয়াইএফআইয়ের সম্মেলনস্থল। এই প্রথম সিপিএমের যুব সংগঠনের কোনও খেলোয়াড়ের নামে সম্মেলনস্থল হচ্ছে। গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। একই কটাক্ষ বিজেপিরও।


সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের সর্বভারতীয় সম্মেলনে এবার 'খেলার' ছোঁয়া। সম্মেলনস্থলের নাম করা হচ্ছে দিয়েগো মারাদোনার নামে। সাধারণত কোনও বাম নেতা, কোনও শহিদ বা রাজনৈতিক সংযোগ থাকা কোনও বিশিষ্ট জনের নামে সম্মেলনস্থল ও মঞ্চের নাম করা হয়। এবার নাম দেওয়া হচ্ছে কোনও খেলোয়াড়ের নামে। বদলের ছবি দেখা যাচ্ছে সিপিএমে। বদল আসছে প্রচারে। তার সঙ্গেই বদলের ছবি যুব সংগঠনের সঙ্গেও। সেই বদলের হাত ধরে ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনের নগরের নামকরণ করা হল দিয়েগো মারাদোনার নামে।


'কিংবদন্তী' মারাদোনা
মারাদোনা মানে ফুটবলের কিংবদন্তী। ১৯৮৬ সালের তাঁর পায়ের জাদুতে ভর করেই বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল আর্জেন্তিনা। তবে ফুটবলের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও যথেষ্ট আলোচিত নাম দিয়েগো মারাদোনা। সমাজতান্ত্রিক, কম্যুনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম। বিভিন্ন বাম নেতার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল ভাল। কিউবার কিংবদন্তী বাম নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল দিয়েগো মারাদোনার। তাঁর ডান হাতে ছিল আর এক কিংবদন্তী বাম নেতা চে গেভারার ট্যাটু। দিয়েগো মারাদোনার বাঁ পায়েও ছিল ট্যাটু। সেটি ছিল কিউবার প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রোর। 


কলকাতা যোগ:
২০০৮ সালে কলকাতায় এসেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। সেবার তিনি দেখা করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে।


সেই মারাদোনার নামে এবার ডিওয়াইএফআইয়ের সম্মেলনস্থলের নামকরণ! ১২ থেকে ১৫ মে সল্টলেকের EZCC-তে হবে DYFI’র একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলন। প্রচার পুস্তিকা, ব্যানার ছেয়ে গেছে প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবলারের ছবিতে। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সমাজতন্ত্রের পক্ষে যাঁরা কথা বলেন তাঁর অন্যতম নায়ক মারাদানো। যিনি বুকের চের ছবি লাগিয়ে আমেরিকায় ঘুরে বেড়াতেন। আমাদের কাছে আইকন এরাই। যারা অনেক বিপদের মুখে থেকেও সমাজতন্ত্রের কথা বলতে ভয় পায় না। খেলা হোক মাঠে।'


তৃণমূলের কটাক্ষ:
প্রাক্তন ফুটবলার ও তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মারাদোনা সবার। উনি ভগবান বিশ্বাস করতেন। এই মানুষকে বামপন্থী বলে তকমা দেওয়া ঠিক নয়। যেই ফুটবল খেলে গেছেন তা নিয়ে চর্চা হোক, রাজনীতি করা উচিত নয়। খেলা হবে স্লোগান তুলে।'


নিশানা বিজেপিরও:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কমিউনিস্টদের দেখেছি এই তো যাদবপুরে নেশার জিনিসের আগ্রহ, মারাদোনারও কোকেন সেবন করতেন। কমিউনিস্টরা এখন ওকেই আদর্শ করেছে।'


আরও পডুন: মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করতেই গায়েব টাকা, সাইবার সেলের দ্বারস্থ পড়ুয়া