সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ফের এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র রোগী রেফারের অভিযোগ (Patient Refer)। অভিযোগ উঠল তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে (Kolkata Hospitals)। পরিবার সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা ৭৮ বছরের রঘুনন্দন মণ্ডলের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। সোমবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Hospital)। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে ICU না থাকায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ফের রোগী রেফারের অভিযোগ শহরে
কিন্তু মাঝরাতে চিত্তরঞ্জনে এসে নিরাশ হতে হয় রোগীর পরিবারকে। বেড না পেয়ে এরপর রোগীকে এনআরএসে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও জায়গা না পেয়ে রাত ৩টে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজে আনা হয় রোগীকে। কিন্তু বেড না মেলায় এখনও জরুরি বিভাগেই রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ নিয়ে কোনও হাসপাতালেরই প্রতিক্রিয়া মেলেনি (Kolkata News)।
এক ঘণ্টা, দু’ঘণ্টা নয়, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে রোগীকে নিয়ে হয়রান তাঁর পরিবার। এখনও মেডিক্যাল কলেজের দরজায় দরজায় ঘুরে চলেছেন তাঁরা। শয্যা নেই বলে প্রথমে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হলেও, জোরাজুরিতে জরুরি বিভাগে রোগীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, রোগীকে শুধু বসিয়েই রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal : লালবাতি খুলে ৫০০ টাকা জরিমানা, দায়িত্ব শেষ? অনুব্রত-মামলায় কড়া হাইকোর্ট
মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘কিছু ক্রনিক রোগ ছিল। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, হার্ট ব্লক রয়েছে। ক্যানিংয়ে ওই পরিষেবার পরিবেশ নেই। তাই চিত্তরঞ্জনে বদলি করা হয় রোগীকে। রাত ১০টায় লিখে দেওয়া হয়। রাত ১২টায় চিত্তরঞ্জন পৌঁছই আমরা। কিন্তু সেখানে বলা হয় যে, শয্যা নেই। অন্য কোথাও দেখুন। তার পর এনআরএস-এ আসি। সেখানেও এক কথা, শয্যা খালি নেই। অন্যত্র ব্যবস্থা করতে হবে।’’
এর পর রাত ৩টে নাগাদ কলকাতা মেজিক্যাল কলেজে রোগীকে নিয়ে তাঁরা পৌঁছন বলে জানিয়েছেন পরিবারের ওই সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘রাত ৩টেয় পৌঁছই। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত ওভাবে বসে রয়েছে রোগী। প্রথমে বলেছিল শয্যা নেই। আমরা জোরাজুরি করায় দেখছে বলল। এখনও রোগী বসে রয়েছে। কোনও চিকিৎসা হয়নি। কখন সুরাহা হবে, তার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’’
তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী রেফারের অভিযোগ
ক্যানিং হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ, গতকাল থেকে রোগীেক নিয়ে ঘুরেই চলেছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু কোনও হাসপাতালেই এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। বরং বার বার এক জায়গায় থেকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। তাতে হতাশায় রোগীর পরিবারের লোকজন।