হিন্দোল দে, কলকাতা: কসবার (Kasba) বোসপুকুরে (Bose Pukur) চারতলা বাড়িতে আগুন (Fire)। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনতলায় একটি সংস্থার অফিসে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের (Fire Department) দু’টি ইঞ্জিন। বহুতলের উপরের তলায় একটি পার্লার রয়েছে। ছাদে আটকে পড়েছিলেন সেই পার্লারের তিন কর্মী। তাঁদের উদ্ধার করেছেন দমকলের কর্মীরা। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।


কয়েকদিন আগেই বাঁশদ্রোণীর এইচ এল সরকার রোডে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় সুতোর কারখানা। ঘন জনবসতি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।


৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর এইচ এল সরকার রোডে একটি সুতোর কারখানায় আগুন লাগে। দাহ্য বস্তু থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো কারখানা। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে বা কারখানায় থাকা ফার্নেস থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। 


আরও পড়ুন ট্যাংরায় ভয়াবহ আগুন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত ৩ দমকল কর্মী


এরপর গত শনিবার সন্ধেবেলা ট্যাংরার মেহের আলি লেনে ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে। এই গুদাম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুনের লেলিহান শিখা ছুঁয়ে ফেলে পাশ্ববর্তী বহুতলের জানালা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে থাকে টিনের ছাউনি। তীব্র আতঙ্কে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। দমকলের ইঞ্জিনগুলিকে গুদামের কাছাকাছি নিয়ে যেতে যেতেই অনেকটা সময় চলে যায়। অভিযোগ, সেই রাগ গিয়ে পড়ে দমকল কর্মীদের উপর। দমকলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে ১৬ ঘণ্টা।


কলকাতায় পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দমকলের পরিকাঠামো। রোবট, ফায়ার বলের মতো অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আনার পরও কেন তা ব্যবহার করা যায়নি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে কাজ লাগানো যায়নি রোবট।