কলকাতা: একই দিনে পরপর দেহ উদ্ধারে ঘনাচ্ছে রহস্য। গড়ফার (Garfa) গীতাঞ্জলি পার্ক (Gitanjali Park) এলাকা থেকে এক মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। গতকাল রাতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছে। সেই সুইসাইড নোটে মহিলা তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করে গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।   


প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিচ্ছিল না, দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। দেওয়া হয়নি স্ত্রীর মর্যাদাও! তবে কি দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর অবহেলাতেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তরুণী? গড়ফায় ব্যাঙ্ককর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উঠছে এমনই প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম লিজা মারি কোটেসরিড (Liza Mari Coatesreid) বছর ৩৬-এর এই তরুণী, একটি বেসরকারি বাঙ্কের টালিগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন। গড়ফার গীতাঞ্জলি ফ্ল্যাটের এই ফ্ল্যাটে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ এই ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় লিজার ঝুলন্ত দেহ।


এই একই দিনে কসবার কে এন সেন রোডে একটি পরিত্যক্ত পাম্প হাউস থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।পুলিশ সূত্রে খবর,পাম্প হাউসের পাশের একটি মাঠে কয়েকজন শিশু খেলছিল। তাদের বল গিয়ে পড়ে ওই পাম্প হাউসে। সেখানে বল কুড়োতে গিয়েই শিশুরা দেহটি দেখতে পায়।  এরপর কসবা থানা এসে দেহ উদ্ধার করে।তবে ওই যুবক কী কারণে ওখানে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  


বিকেলে মাঠে খেলার সময় বল গিয়ে পড়েছিল, এই পরিত্যক্ত পাম্প হাউজের মধ্যে। ভিতরে ঢুকে বল কুড়োতে গিয়ে, আঁতকে ওঠে বাচ্চারা।  তাদের চিত্‍কার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক যুবকের ঝলসানো মৃতদেহ! রবিবার বিকেলে, কসবার কে এন সেন রোডে, পরিত্যক্ত পাম্প হাউসের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ!


অন্যদিকে, এলগিন রোডে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চার্জসিট দিল কলকাতা পুলিশ। ২২০ পাতার চার্জশিটে ধৃত বিমল শর্মার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, লুঠ সহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এলগিন রোডের এক হোটেল থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যের দেহ। তাঁকে খুনের অভিযোগ পুলিশ মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করে বিমল শর্মা নামে ব্যবসায়ীর পরিচিত এক ব্যক্তিকে।