হিন্দোল দে, কলকাতা : ছুটির দিনে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC) বাড়ির পাশের স্কুলেই দুষ্কৃতী তাণ্ডব। একের পর এক ঘরের তালা ভেঙে নথি ও মূল্যবান সামগ্রী লুঠের অভিযোগ। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার (Rajpur-Sonarpur Municipality) ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচপোতা বদনচন্দ্র ইন্দুমতি হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুলের পাশেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির অভিযোগ, ছুটির পর পাঁচিলের পাশে বসে মদ-জুয়ার আসর। পাঁচিল টপকে তারা স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। পরিচালন সমিতির দাবি, নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station) বারবার জানানো সত্ত্বেও সুরাহা মেলেনি। স্কুলে এসে শিক্ষকরা দেখেন একের পর এক আলমারি ভাঙা। টাকা পয়সা নিয়ে ভুল খোঁজের জেরে দৃষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছিল নাকি কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই কাজ ? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘর, টিচার্স রুম, অ্যাকাডেমিক রুমে লুঠপাট চালানো হয়। স্কুল পরিচালন সমিতির অভিযোগ, স্কুল ছুটি হওয়ার পর, প্রতিদিন স্কুলের পাঁচিলের ধার ঘেঁষে বসে মদ-জুয়ার আসর। পাঁচিল টপকে দুষ্কৃতীরা স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ে। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের কথা পুলিশ জানে। থানায় জানানোর পর উল্টে তা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কী উদ্দেশ্যে স্কুলে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা ? শুধুই লুঠপাট, নাকি অন্য উদ্দেশ্য ছিল ? নথি লুঠ হলে, তার পিছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে ?
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী ? আজ রায় দেবে আদালত