সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : কলকাতার (Kolkata) হরিদেবপুরে (Haridevpur) নিজের আবাসনের সামনেই আক্রান্ত প্রয়াত ও প্রাক্তন পুলিশকর্তার ছেলে ! প্রকাশ্য রাস্তায় তাড়া করে ধারাল অস্ত্রের কোপ। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারীরা পলাতক। কী কারণে হামলা, খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ (Haridevpur Police Station)।  


প্রকাশ্য রাস্তায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড


খাস কলকাতায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। প্রকাশ্য রাস্তায় ফ্ল্যাটের সামনে সেই ব্যক্তিকে ধাওয়া করে মাথার পিছনে কাটারি দিয়ে কোপাচ্ছেন একজন। হাতে রড বা চাকু জাতীয় কিছু নিয়ে আরেকজন সেই হামলায় মদত দিচ্ছেন। বুধবার রাতে এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত পূর্ব বরিষার সুকান্ত সরণি এলাকা। 


নিজেরই আবাসনের সামনে আক্রান্ত হলেন প্রয়াত প্রাক্তন ডিএসপি-র ছেলে। যা নিয়ে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। আক্রান্ত সঞ্চয়ন বিশ্বাস আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাপাতালে ভর্তি। সঞ্চয়ন বিশ্বাসের বাবা প্রয়াত সঞ্জয়কুমার বিশ্বাস ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। অবিবাহিত সঞ্চয়ন তাঁর অসুস্থ বয়স্ক মাকে নিয়ে ফ্ল্যাটে থাকেন। 


বুধবার রাতে পাড়ার দোকান থেকে জিনিস কিনে ফেরার পথে তাঁর ওপরেই হয়ে গেল ভয়ঙ্কর হামলা। কিন্তু কী কারণে এই হামলা ? পুলিশ সূত্রে খবর, অসুস্থ মায়ের দেখভালের জন্য বাড়িতে একজন আয়া রেখেছিলেন সঞ্চয়ন। বাড়তি টাকা চাওয়া নিয়ে প্রায়ই আয়ার সঙ্গে অশান্তি হত। সম্প্রতি বিরক্ত হয়ে আয়াকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। পুলিশের অনুমান, আয়ার স্বামী ও ছেলে হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী দু'জনেই পলাতক। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, 'কাল রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন। আমরাই উদ্ধার করি। দুজন ছেলে পালিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত।'


আরও পড়ুন- চৈত্র-শেষেই কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, গরমের দাপট দেখবে দার্জিলিংও


প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে, রাতের কলকাতায় মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এএসআই। বাইপাসের অজয়নগর মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় হেলমেটবিহীন বাইক আটকে জরিমানা করায় দলবল নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। মারধরে জখম হন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও সার্ভে পার্ক থানার এএসআই। গোটা ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।