সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali ED Attack) তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্য পুলিশ ও সিবিআইকে (CBI investigation) নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্তের ঘটনার বিরোধিতা করে এসেছে ইডি (ED)। এদিন হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, 'সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের বিরোধিতা করছি। রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী অভিযুক্ত, জেলে আছেন। রাজ্য পুলিশ এই তদন্তের ক্ষেত্রে একেবারেই যোগ্য সংস্থা নয়। নথি বিকৃত করা হতে পারে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে।' রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও হাইকোর্টে সওয়াল করে ইডি।
ইডিকে মারধরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু একা সিবিআইকে তদন্ত করার কথা না বলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে SIT তৈরির নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি এবং রাজ্য। সেই মামলায় সিট গঠনের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
৩৩ দিন কেটে গেলেও এখনও টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি শেখ শাহজাহানের। ইডি দু'বার হাজিরার নোটিস পাঠালেও, তাতে আমল দেননি তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ইডি আধিকারিকদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহানকে খুঁজবে কে? এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত সিট-এর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে বর্বর আক্রমণের মুখে পড়েন ED ও CRPF.রক্তাক্ত হন ইডির আধিকারিকরা। সেই ঘটনার তদন্তে ১৭ জানুয়ারি এক পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার এবং এক CBI আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করে দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একইসঙ্গে সিটে ন্যাজাট থানার কোনও আধিকারিক থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু বিচারপতি সেনগুপ্তর সিট গঠনের সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায় ED।
এর মধ্য়ে সিবিআই আধিকারিকের নাম না দেওয়ায় সিট গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তদন্ত হচ্ছে না। পাশাপাশি, আর তদন্ত করছে না ন্যাজাট থানাও। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, ন্যাজাট থানার তরফে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে জানানো হয় সিটকে চিঠি পাঠিয়েও উত্তর পাননি তারা। এই জটিলতার জেরে তদন্ত থমকে আছে। এই প্রেক্ষাপটে এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানে সিটে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।
আরও পড়ুন: একই জায়গায় ২০০ বার অস্ত্রোপচার! তারপরে 'রোগমুক্তি' SSKM-এ