সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ইকো পার্কের ৬ নম্বর গেটের কাছে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। সন্ধে ৭টার কিছু পরে এই আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে একের পর এক ঝুপড়ি। আগুন নেভানোর চেষ্টায় প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন আসে। পরবর্তীকালে আরও ৫টি বাড়ানো হয়। অর্থাৎ, ১০টি ইঞ্জিন এই মুহূর্তে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

Continues below advertisement

ঘটনার পর আতঙ্কে ২০০-২৫০ বস্তির বাসিন্দা। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীকালে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঝুপড়ি এলাকা হওয়ায় গায়ে গায়ে ঘেঁষে রয়েছে কাঠামোগুলি। ফলে, দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে, একাদিক ঘর এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। সেখান থেকে মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কীভাবে এই আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দিনকয়েক আগে গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার রামগড় বাজারে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে খাক হয়ে যায় ৪০ টি দোকান। রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে, ঘিঞ্জি বাজার এলাকায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকলের ৭ টি ইঞ্জিনের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কী থেকে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল। 

Continues below advertisement

কিছুদিন আগে আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। বহুতলের নীচে থাকা রাসায়নিক গোডাউনে লেগেছিল আগুন। ভিতরে প্রচুর দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়। এক ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। পাশেই দোকান, বসতি থাকায় বেড়েছিল দুশ্চিন্তা।  

সম্প্রতি এজরা স্ট্রিটে আগুন লেগে যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বৈদ্যুতিন সামগ্রীর বাজার। দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের লড়াইয়ে ভোরে লাগা আগুন নেভে বেলায়। বারবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে নজরদারি। এক বছরের ব্যবধানে কলকাতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। আর তাতে কখনও গিয়েছে প্রাণ, কখনও হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি। 

কিন্তু কেন বারবার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে? কোথায় দমকল, পুরসভা, পুলিশের নজরদারি? অগ্নিকাণ্ডের পরই কেন যত তৎপরতা? অগ্নিকাণ্ডে রাশ টানতে রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। বৈঠক হয়েছে পুরসভাতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে নানা প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এসেছে। তারপরও শহরে অগ্নিকাণ্ড কমছে না?