অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: কলকাতার জমা জলের দুর্ভোগ দূর করতে দ্রুত শহরের খালগুলির সংস্কারের দাবিতে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে চিঠি দিলেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও। 


মুষলধারে বৃষ্টি হলেই কলকাতা, না ভেনিস, বোঝা দায়! কোথাও দাঁড়িয়ে যায় হাঁটু সমান জল। তো কোথাও আবার কোমর সমান। উত্তর কলকাতার বাগবাজার, সুকিয়া স্ট্রিট থেকে দক্ষিণের সাদার্ন অ্যাভিনিউ, যাদবপুর, বেহালা। চলতি বর্ষার মরসুমে একাধিক দিন তিলোত্তমার জলবন্দি রূপ দেখেছে শহরবাসী। কলকাতার জলযন্ত্রণার চেনা ছবিটা বদলাতে এবার তৎপর হল কলকাতা পুরসভা।


পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতার উত্তরে সুতি খাল ও ঘুনিগাছি খালসহ বেশ কয়েকটি খালের অবস্থা শোচনীয়। সংস্কারের অভাবে বেহাল কলকাতার দক্ষিণে চড়িয়াল খাল, বেগোর খাল ও নিউ মনি খাল।  কলকাতা লাগোয়া ১৭টি খালের নাব্যতা কমে যাওয়াতেই জলে ভাসছে প্রিয় শহর।


এবার তাই এই খালগুলির সংস্কারের জন্য সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে চিঠি দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। চিঠি দেওয়া হল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও। 


 ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, খাল সংস্কারের জন্য সেচমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি মুখ্যসচিবকেও খাল সংস্কারের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত কাজ শুরু হবে। এখন দেখার, কত দ্রুত শহরের এই খালগুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। 


শুধু কলকাতা নয়। অন্যান্য জেলাতেও ছবিটা একই। শুক্রবার সকালের আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন মালদার গাজোল। জমা জল সরাতে উদ্যোগী হলেন সিভিক ভলান্টিয়াররাই। লাঠি, বাঁশ দিয়ে নর্দমার মুখ পরিষ্কার করে জল সরানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা। আর এই জমা জমে দুর্ভোগ নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।


রাস্তার ট্রাফিক সামলান যাঁরা, তাঁদেরই দেখা গেল একেবারে অন্য ভূমিকায়। নর্দমা পরিষ্কার করছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। জমা জল সরাতে নর্দমা পরিষ্কারে নেমেছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। শুক্রবার সকালে এ ছবি দেখা গেল মালদার গাজোলে। মাত্র আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে গাজোলের বিভিন্ন এলাকা। জল জমে যায় থানা রোডেও। আর এতেই সমস্যায় পড়েন এলাকাবাসী। তারপরই লাঠি, বাঁশ নিয়ে নর্দমা পরিষ্কারে নামেন থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা।