পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: একেবারে যাকে বলে বলে-কয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। খোদ পুলিশ কর্মীর অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। কলকাতা পুলিশের ওই কনস্টেবল সন্তোষপুরের বাসিন্দা। 


পুলিশ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খিদিরপুর শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্টে গতকাল বেতনের টাকা জমা পড়ে। অভিযোগ, এরপর দুপুরে পুলিশ কর্মীকে ফোন করে জানিয়ে পাঁচ দফায় তুলে নেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। 


ঢাকুরিয়ার এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ কর্মীর দাবি, অ্যাকাউন্ট বা এটিএম কার্ড সংক্রান্ত তথ্য কাউকে দেননি। তারপরও টাকা তোলা হয়েছে। নেপথ্যে নতুন কোনও গ্যাং? সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।


এর আগে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় অভিনব কায়দায় ১৯ লক্ষ টাকা গায়েব করার অভিযোগ ওঠে। বড়তলা থানা এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধের অভিযোগ, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর কেওয়াইসি আপডেট করার কথা বলা হয়। 


তারপর বলা হয় একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে। অভিযোগ, অ্যাপ ডাউনলোড করার পরই মোবাইল ফোনটি হ্যাক করে নেয় প্রতারকরা। 


তারপর দফায় দফায় বৃদ্ধের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করা হয় প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। সোমবার ব্যাঙ্কে পাশবই আপডেট করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন ওই বৃদ্ধ। তিনি বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।  


তার আগে, গতমাসের গোড়ায় বিশেষ কোড পাঠিয়ে যোগফল জানতে চেয়ে এক ব্যক্তির পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের দত্তপুকুর শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।


গ্রাহকের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয়ে তাঁকে ফোন করে ওটিপি না চেয়ে একটি কোড নম্বর দেওয়া হয়। বলা হয়, ওই কোড নম্বরটি গ্রাহকের পিন নম্বরের সঙ্গে যোগ করে যোগফল জানাতে। 


পরামর্শ অনুযায়ী, ফোনে থাকা ব্যক্তিকে যোগফল জানাতেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৯৮ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ। 


দত্তপুকুর থানার পাশাপাশি, বারাসাত পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ দায়ের হয়। সচেতন করা সত্ত্বেও বারবার একই ভুল ঘটছে, এই ঘটনায় গ্রাহকদের অসাবধানতাকেই দায়ী করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। 


আরও পড়ুন: ফাঁদ পেতেছে প্রতারকরা, এটিএমে ঢুকলেই মেনে চলুন এই পরামর্শ


আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা, প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন, ফেরত দেব না, দাবি বিহারের বাসিন্দার