অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ সরকার, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা:  দুই বছর ধরে প্রবল ভোগান্তি ও আশঙ্কা ছড়িয়েছে। তারপরে অনেকটাই কমে এসেছিল কোভিডের আতঙ্ক। ফের নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। এই সময়ে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই কারণে কোভিড পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সময়েই ছুটির কারণে পরপর দুদিন বন্ধ থাকল পুরসভার টেস্ট সেন্টারগুলি। একই কারণে বন্ধ ছিল কলকাতা পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।


বর্ষশেষের আনন্দে ভাসছে রাজ্য ও শহর। ২৫ ডিসেম্বরে লাগামছাড়া ভিড় হয়েছে পার্কস্ট্রিটে। করোনা উদ্বেগের মাঝেই সেই ভিড় চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের। এবারও ভয় রয়েছে ওমিক্রনের। তবে এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7


চিনে কার্যত তাণ্ডব ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই ভারতেও কয়েকজনের শরীরে মিলেছে এটি। চিন ও অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে ফেরা বেশ কয়েকজনের শরীরেও মিলেছে কোভিডের হদিশ। আগ্রা, বুদ্ধ গয়ায় কিছু পর্যটকের শরীরে মিলেছে কোভিডের ভাইরাস। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্র অ্যাডভাইসরি জারি করে রাজ্যগুলিকে বলেছে, পর্যাপ্ত কোভিড টেস্ট করতে হবে। ব্যবস্থা করতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের। বুস্টার ডোজের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। 


বন্ধ টিকা কেন্দ্র, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র:
এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় ধরা পড়ল অন্যরকম ছবি।  কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই আছে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা। ১৬টি বরোতে, একটি করে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার রয়েছে। যেখানে RTPCR টেস্টও হয়। কিন্তু করোনা যখন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন পরপর দু্-দিন বন্ধ থাকল সেন্টারগুলি। এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে গেলে টিকাকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রবিবার এমনিতেই কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রগুলিতে বন্ধ থাকে কোভিড টেস্ট ও ভ্যাকসিনেশন। আর বড়দিনের পরের দিন অর্থাৎ সোমবার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করায়, এদিনও বন্ধ ছিল সেন্টারগুলি। 


চেতলায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পাড়াতেই রয়েছে মেয়রস ক্লিনিক। সেখানে টাঙানো নোটিসে উল্লেখ আছে, সোম থেকে শনিবার করোনা টেস্ট হবে। কিন্তু, এদিন ডায়ালিসিস ও চোখের চিকিৎসা চালু থাকলেও, হয়নি করোনা টেস্ট। একই ছবি ধরা পড়েছে, স্বাস্থ্য় দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির তরজা।

আরও পড়ুন:  'চন্দন অনেককে চাকরি দিয়েছিলেন, ছেলেও পেয়েছিল', বাগদায় 'অযোগ্য' শিক্ষকের হদিশ