ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনা উত্তর কলকাতায়। ট্রলিব্যাগে পুরে দেহ লোপাটের চেষ্টা, গঙ্গায় ফেলার আগে কুমোরটুলি ঘাট থেকে দুই মহিলাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ওই ব্যাগে কার দেহ ছিল? ব্যাগ খুলতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।                                 

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সকাল ৭টা নাগাদ ট্যাক্সি করে গঙ্গার ঘাটে আসেন মাস্ক পরা দুই মহিলা। ভারী ব্যাগ টেনে ঘাটে আনতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। মহিলারা দাবি করেন, ব্যাগে পোষ্য কুকুরের মৃতদেহ রয়েছে। খবর যায় উত্তর বন্দর থানায়। পুলিশ এসে ট্রলিব্যাগ খুলতেই ভিতরে মেলে পচাগলা রক্তাক্ত দেহ। মহিলার দেহ বলে প্রাথমিক অনুমান। 

দেহ কার? কেন খুন? আটক মহিলাদের পরিচয় কী? পুলিশ সূত্রে খবর, দুই মহিলার পরিচয় জানা গিয়েছে ফাল্গুনী ঘোষ এবং তার মা আরতি ঘোষ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফাল্গুনী ঘোষ জানিয়েছেন ওই ট্রলি ব্যাগে যার দেহ তিনি সম্পর্কে তার পিসি শাশুড়ি হন, নাম সুমিতা ঘোষ।                                    

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফাল্গুনি-সুমিতাদের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। গতকাল রাতে মা-মেয়ের সঙ্গে পিসি শাশুড়ির বিবাদ হয়। তার জেরে ভারী কিছু দিয়ে পিসি শাশুড়ির মাথায় আঘাতের জেরেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। জেরায় মা-মেয়ে জানিয়েছেন, ট্রলিব্যাগে দেহ পুরে তাঁরা মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এরপর কুমোরটুলি ঘাটে এনে ব্যাগ সমেত দেহ গঙ্গায় ফেলার ছক ছিল।

আরও পড়ুন, বাড়িতে ডেকেছিলেন টিন-লোহা ভাঙা ফেরিওয়ালাকে, এরপরই খুন! দেহ পচল ঘরে!

এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, মহিলাদের কাছে মিলেছে শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখার কাজিপাড়া স্টেশনের টিকিট। বারাসাতের কাছে কাজিপাড়া থেকেই কি এসেছিলেন মহিলারা? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যেখানে ফেলার চেষ্টা করছিল, তার ১০০ মিটার দূরে সুতানুটি আউট পোস্ট। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই মহিলা দাবি করেন, এর আগে তাঁরা প্রিন্সেপ ঘাট, মধ্যমগ্রাম-সহ ৩টি জায়গায় দেহ ফেলার চেষ্টা করে।

 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে