রঞ্জিত সাউ, কলকাতা:  মর্মান্তিক পুলকার দুর্ঘটনা নিউটাউনে (School Car Accident)। মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায় পুলকার। পাঁচজন ছাত্র নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল গাড়িটি। বালিগুড়ির কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চালককে আটক করেছে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউন থেকে পাঁচ জন ছাত্রকে নিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিল পুলকার (pool car) । কারিগরি ভবন ক্রস করার পর চালকের ফোন আসে। সেই ফোন ধরতে গিয়েই বিপত্তি বলে অভিযোগ। ফোন ধরে কথা বলতে বলতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায়। দুজন ছাত্রের অল্প আহত হয়েছে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা এসে বাচ্চাদের নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ চালকে ও গাড়িটিকে আটক করেছে।


প্রসঙ্গত, সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে এশহর। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। (Suvendu Adhikari)


মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। এমাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।


আরও পড়ুন, 'দলনেত্রীর প্রতি ভালবাসা থাকলেই রোষের মুখে..', যাদবপুর ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় কী বললেন ব্রাত্য ?


তবে এখানেই শেষ নয়, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার আগেও হয়েছে বাংলার ছাত্র। মুর্শিদাবাদে, বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের (Student)। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল সেবার মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল সামসেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০২২ সালে। মহেশতলা ডাকঘরের কাছে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।