ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী,কলকাতা: কলকাতায় ফিল্মি কায়দায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা (Kidnapping Case)। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হল ব্যবসায়ীকে। অপহরণ চেষ্টা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত ৪ জন (4 Arrested)। 


ফিল্মি কায়দায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা। পুলিশি তৎপরতায় অপহরণের ছক বানচাল। খাস কলকাতার বুকে ঘটল এমন ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। ওই সময় ওই এলাকায় ব্যবসায়ীক কাজে এসেছিলেন শুভদীপ রায় নামে হাওড়ার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী। শুভদীপকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে ৪ জন ব্যক্তি। কিন্তু ঘটনাটি দেখে ফেলেন এলাকায় কর্তব্যরত এক কন্সটেবল। ৪ জনের মধ্যে থেকে ১ জনকে ধরে ফেলেন তিনি।


তখন ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে কড়েয়ার দিকে পালিয়ে যান বাকি ৩ জন।কড়েয়ার চামরু খানসামা লেনের বাড়ি থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যে গাড়িতে করে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই অপহরণের চেষ্টা করা করা হয় বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ,অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে।


চলতি বছরের শুরুতেই বর্ধমানে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করা হয়েছিল ব্যবসায়ীকে। শুধু অপহরণই নয়, চাওয়া হয়েছিল বিরাট অঙ্কের মুক্তিপণ। অপহৃত ব্যক্তির নাম বেণীমাধব চন্দন চট্টোপাধ্যায়। য়ী। মেমারি শহরের পুরনো পোস্ট অফিস পাড়ার ওই বাসিন্দা ,পেশায় তিনি তামাক পাতার ব্যবসা তিনি। জানা  যায়,  নিজের বাইক নিয়ে মেমারী থেকে ছিনুই-এর দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে একটি সাদা রঙের স্করপিও তার তাতারপুরের কাছে তাঁর পথ আটকায় ও জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল সেই গাড়িতে। ঘটনার খবর চাউর হয়েছিল।


আরও পড়ুন, উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া হবে তো ? অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে চিন্তায় ছাত্রী, খবর সংবাদ মাধ্যমে আসতেই..


পরিবারের তরফে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি ফোন আসে অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে। ফোনে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। এখানেই শেষ নয়, জানানো হয়েছিল ব্যবসায়ীকে ঝাড়খন্ডে পাকুরের কাছে আটকে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ না পেলে ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন অপহরণকারীরা। ওই ফোনের সূত্র এবং বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত নেমে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই অপরাধীদের খুঁজে বের করেছিল সেবার মেমারি থানার পুলিশ।